এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৩ মে : সোমবার কলকাতার মওলা আলি মোড়ে যুদ্ধবিরোধী মিছিল করেছিল গুটি কয়েক উগ্র বামপন্থী । তারা “যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই” শ্লোগানের পাশাপাশি পাকিস্তানে সিন্ধু নদীর জল বন্টনের দাবি তোলে । কিন্তু তাদের বিজেপির বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় । বামপন্থীদের মুখে কালি ছেটানোরও অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে বিজেপি নেতা সজল ঘোষসহ বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মীকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। রাত্রি ১০ টার পর ছাড়া হয় তাদের। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল সাংবাদিকরাই বামপন্থী মহিলা ও পুরুষ ক্যাডারদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কি পাকিস্তানের দালাল ?’ পাশাপাশি গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে ইসলামি সন্ত্রাসবাদীদের হিন্দু নরসংহার নিয়ে প্রতিক্রিয়াও জানতে চান তারা । যদিও কোনো প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেনি বামপন্থীরা।
“যুদ্ধ নয়,শান্তি চাই” ব্যানারে সোমবার দুপুরে কলকাতার মৌলালিতে জমায়েত হয় বামপন্থীরা । মওলা আলি মোড় থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করার কথা ছিল তাদের । বলা হয় যে এটা অরাজনৈতিক কর্মসূচি । কিন্তু জমায়েতে দেখা যায় লাল পতাকা হাতে উপস্থিত হয়েছে মার্কামারা বামপন্থী মহিলা ও পুরুষ ক্যাডাররা ।
মিছিল শুরু হওয়ার পর কয়েক পা এগোতেই সেখানে জাতীয় পতাকা হাতে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের নেতৃত্বে হাজির হন বিজেপি কর্মীরা। মিছিলের উদ্যোক্তা ও অংশগ্রহণকারীদের দেশদ্রোহী বলে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। এমনকী মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে কালি ছেটানো হয় বলেও অভিযোগ। দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যাওয়ার উপক্রম হয়। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হন মিছিলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা। তাঁরা কোনওক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর পর সজল ঘোষসহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাকর্মীকে আটক করেন পুলিশ আধিকারিকরা। কয়েকজন বাকপন্থীকেও আটক করা হয়।
সজল ঘোষ বলেন,’পাকিস্তানের দালালদের ভারতবর্ষের মাটিতে কোন জায়গা নেই, কিছু দেশবিরোধী সেকু মাকু আজ পাকিস্তানের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছিল, আমরা বলেছিলাম ওদের মিছিল হতে দেব না,দেয়নি l পুলিশ আমাদের অ্যারেস্ট করতে পারে কিন্তু আমাদের প্রটেস্ট থামাতে পারবে না ।’
প্রিজন ভ্যানে বসে সজলবাবু বলেন, এরা সব দেশদ্রোহী, পাকিস্তানপন্থী। এরাই সন্ত্রাসবাদের প্রচ্ছন্ন মদতদাতা। পহলগাঁওয়ে যখন হিন্দু পর্যটকদের বেছে বেছে পরিবারের সমনে মাথায় গুলি করেছিল জঙ্গিরা তখন এরা ঘরে বসে থেকে মৌন সমর্থন জানিয়েছে। আর এখন যখন ভারত তাদের জবাব দিচ্ছে তখন এদের মনে পড়েছে যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। এই সব পাকিস্তানপন্থীদের চিহ্নিত করে এদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত সরকারের।’ তিনি পুলিশের বিরুদ্ধেও বামপন্থীদের সহযোগীতা করার অভিযোগ তুলেছেন । এদিকে বিজেপির বিরোধের জেরে মওলা আলি মোড় থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বামপন্থীদের মিছিল আর হয়নি । ইউটিউব চ্যানেল ‘বঙ্গ টিভি’র রোজিনা রহমান বামপন্থীদের প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কি পাকিস্তানের দালাল?’ পরে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন,’আপনারা কি পাকিস্তানের দালাল? সাংবাদিকের প্রশ্নে ধরাশায়ী অতিবামরা ।’।

