শ্যামসুন্দর ঘোষ,মন্তেশ্বর(পূর্ব বর্ধমান),১৯ আগস্ট : বিগত প্রায় দু’বছর ধরে করোনা পরিস্থিতির কারনে ব্যাবসায় মন্দা চলছিল । এদিকে সংসার চালানোর পাশাপাশি ব্যাবসা টিকিয়ে রাখতে প্রচুর টাকা ধারদেনা হয়ে গিয়েছিল । শেষ পর্যন্ত ঋণ শোধের কোনও সুরাহা দেখতে না পেয়ে মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হলেন এক বিড়ি কারখানার মালিক । মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানা এলাকায় । পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম লাল্টু দাস(৪৯) । বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ব্যক্তির বিড়ি কারখানা থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ । পরে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় ।
জানা গেছে,মন্তেশ্বরের দাসপাড়ার বাসিন্দা লাল্টু দাসের বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী সুমিত্রাদেবী ও ছেলে সূর্য। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে । বাড়ি থেকে কিছু দুরে মন্তেশ্বর হাটপাড়ায় রয়েছে লাল্টুবাবুর বিড়ি কারখানাটি । সেখানে একটি ঘরে বিড়ি তৈরি করা হত । লাল্টুবাবু ও তাঁর ছেলে মিলে কারখানাটি চালাতেন । বিড়ি কারখানার উপার্জন থেকেই কোনও রকমে সংসার চালাতেন লাল্টুবাবু । পরিবার সুত্রে খবর,প্রতিদিনের মতই এদিন সকালে নিজের কারখানায় যান লাল্টু দাস । তারপর সকাল ৯-১০ টা নাগাদ বিড়ি কারখানার ঘরের মধ্যে তাঁর ঝুলন্ত দেহটি দেখতে পান পরিবারের লোকজন । পরে খবর পেয়ে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে আনে ।
স্থানীয় বাসিন্দা তাপস কুমার দাস বলেন, ‘যখন থেকে করোনা শুরু হয়েছে তখন থেকে লাল্টুর বিড়ি কারখানায় ডামাডোল চলছিল । ব্যাবসা টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি সংসার চালাতে গিয়ে প্রচুর ধারদেনা করে ফেলেছিল । এদিকে দেনা শোধ করার কোনও উপাও খুঁজে পাচ্ছিল না । তার জেরে বেশ কিছুদিন ধরে হতাশায় ভুগছিল লাল্টু । শেষ পর্যন্ত লান্টু যে আত্মঘাতী হবে তা কল্পনাও করতে পারিনি ।’।