জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,পূর্ব বর্ধমান,০১ এপ্রিল :
তর্ক-বিতর্কের মধ্যে দিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার ৪৪ টি চক্রের চক্র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং জেলার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গত ৩১ শে মার্চ বর্ধমানের রবীন্দ্র-নজরুল সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হলো জেলার প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সাংগঠনিক সভা। একইসঙ্গে সভায় ২০২১ সালে জেলার নব নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের বরণ করে নেওয়া হয় এবং তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান তথা মেমারি বিধানসভার বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য, বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারপার্সেন কাকলি তা, কালনা পৌরসভার উপ-পৌরপতি তথা পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাক্তন সভাপতি তপন পোড়েল, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃনমুল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের বর্তমান জেলা সভাপতি মোঃ আবু বক্করসহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ ।
এই সভা থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার ৪৪ টি চক্রের চক্র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং জেলার প্রতিনিধিদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি মোঃ আবু বক্কর। এছাড়াও এই সভায় জেলা কমিটির নামও ঘোষণা করা হয়। যদিও এই কমিটির কিছু প্রতিনিধির নাম নিয়ে বিভিন্ন চক্রের চক্র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কমিটির মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়। নেতৃত্ব বিতর্কের কথা অস্বীকার করেছেন।
নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের এক বিশিষ্ট নেতা বলেন- ৪৪ টি চক্রের চক্র কমিটি এবং জেলা কমিটির মধ্যে এমন অনেক প্রতিনিধির নাম আছে যারা কোনদিনও তৃণমূল দলটি করেনি। এমনকি এর আগে সংগঠনে তাদের দেখাও যায়নি। আবার যারা সংগঠনটা প্রথম থেকেই করে এসেছে তাদের নাম ওই তালিকায় নাই ।
আরও এক শিক্ষক প্রতিনিধি বলেন,’এখনো পর্যন্ত জেলা কমিটি তৈরি না হওয়া সত্ত্বেও কি করে চক্র কমিটি তৈরি হলো?’ যদিও এই সব বিষয়ে কোনো উত্তর ওই সভায় উপস্থিত জেলা সভাপতি মোঃ আবু বক্কর দিতে পারেননি ।।