শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৭ মে : বাবা-মা দু’জনেই স্কুল শিক্ষক । বাড়িতে রয়েছে পড়াশোনার পরিবেশ । আর তার ফায়দা পুরদমে নিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার মাধব পাবলিক হাই স্কুলের ছাত্র কুন্তল চৌধুরী । আজ বুধবার উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যায় রাজ্যের মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান দখল করেছে কুন্তল । তবে কুন্তল জানান, তার কাছে এই অভাবনীয় ফলাফল তার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি । কারন হিসাবে তিনি বলেন, ‘আমি মেধা তালিকায় এক থেকে দশের মধ্যে জায়গা করব এবিষয়ে নিশ্চিত ছিলাম । কিন্তু পঞ্চম স্থান দখল করব এটা কখনো কল্পনাও করিনি।’ যাই হোক,ছেলের এই নজরকাড়া সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কুন্তলের বাবা-মা ।
ভাতার থানার বলগোনার বাসিন্দা সঞ্জীব চৌধুরী ও বাসন্তী চৌধুরীর একমাত্র সন্তান কুন্তল । সঞ্জীববাবু ভাটাকুল প্রাথমিক বিদ্যলয়ে শিক্ষকতা করেন । মা বাসন্তীদেবী বলগোন গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা ৷ সঞ্জীববাবুর পৈতৃক বাড়ি অন্যত্র হলেও স্বামী-স্ত্রীর কাজের সুবিধার্থে বলগোনা রেল স্টেশনের কাছে জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করেন বর্তমানে । সেই সূত্রে এলাকার প্রাথমিক স্কুল থেকেই পড়াশোনা শুরু কুন্তলের ৷ পরে সে পার্শ্ববর্তী শুশুনদিঘি হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় ৷ মাধ্যমিকেও নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছিল কুন্তল । উচ্চ মাধ্যমিকে ভাতার মাধব পাবলিক হাই স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয় সে । আজ উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায় ৪৯৩ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় পঞ্চম হয়েছে ভাতারের ওই মেধাবী ছাত্রটি ।
কুন্তলের মা বাসন্তী চৌধুরী জানান,ছোট থেকেই তার ছেলে পড়াশোনায় খুব মনোযোগী ছিল । পড়াশোনার ক্ষতি করে সচারচর তার ছেলে আড্ডা দিয়ে সময় নষ্ট করত না । স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই ছেলের পড়াশোনায় সহযোগিতা করতেন । কুন্তল জানান, দৈনন্দিন গড়ে ৮-৯ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলা ও গল্পের বই পড়তে ভালো লাগে তার । আগামী দিনে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করতে চান কুন্তল।।

