প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৪ আগষ্ট : জমি বিবাদে আদালতের নির্দেশ কার্যকর না করে উল্টে মামলাকারীকে জমিতে চাষ দিতে বাধা দিচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার ওসি । আদালতের নির্দেশ কেন অমান্য করা হল সেই ব্যাপারে ওসিকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বর্ধমানের দ্বিতীয় অতিরিক্ত সিনিয়র ডিভিশন বিষয়টি জেলার পুলিস সুপারকেও জানানো হয়েছে । নির্দেশে বিচারক এও জানিয়েছেন, সম্ভবত ওসি আদালতের আদেশ বুঝতে পারেননি ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়না থানার পলাশনের পীযূষকান্তি ঘোষের পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে। তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর ভাই-বোনেরা নিজেদের মধ্যে জমির ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন। একটি জমি তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চাষ করছেন। কিন্তু, কিছুদিন আগে সেই জমিতে চাষ করতে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। এনিয়ে তিনি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলায় আদালতে পেশ করা রিপোের্টে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর জানিয়েছে, পীযূষ ৩০ বছর ধরে জমিটি চাষ করছেন এবং সেটি তাঁর দখলেই রয়েছে। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা চলাকালীন পীযূষকে চাষে বাধা দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে তিনি দেওয়ানি আদালতে মামলা করেন। দেওয়ানি আদালত জমির চরিত্র কোনওভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না এবং বর্তমান অবস্থা বজায় থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছে। তারপরও তাঁকে জমি চাষে বাধা দেওয়া হয়। আদালতে পুলিশের সাহায্য চেয়ে আবেদন করেন মামলাকারী। আদালত পুলিশকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু, তারপরও পুলিশ তাঁকে কোনও রকম সাহায্য করছে না বলে আদালতে উল্লেখ করেছেন মামলাকারী। এনিয়েই আদালত ওসির রিপোর্ট তলব করে। সেই রিপোর্টও ওসি আদালতে পেশ করেন নি ।
এই প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী হিমাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আদালত বিতির্কত জমির চরিত্র বদল করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, মামলাকারী যাতে জমিতে চাষাবাদ করতে পারেন তার নির্দেশও দিয়েছেন।তা সত্ত্বেও রায়না থানার ওসি মামলাকারীকে জমিতে চাষ করতে বাধা দিচ্ছেন।মামলাকারীকে হেনস্তা করছেন। মামলাকারী অভিযোগ জানাতে গেলেও ওসি তা নিচ্ছেন না। সে কারণে ওসিকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করার বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে ।।