এইদিন ওয়েবডেস্ক,জম্মু-কাশ্মীর,১১ জুলাই : পাকিস্তান-সমর্থিত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির সাথে যুক্ত জম্মু-কাশ্মীরের গোষ্ঠীগুলির ঠিকানায় আজ মঙ্গলবার একযোগে অভিযান চালালো ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) । এদিন উপত্যকার অনন্তনাগ, শোপিয়ান এবং পুলওয়ামার ৫ টি ঠিকানার এনআইএ-এর এই অভিযান চলে । অভিযানে প্রচুর অপরাধমূলক তথ্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানিয়েছে এনআইএ । এনআইএ জানিয়েছে যে তারা হাইব্রিড সন্ত্রাসী এবং ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স (OGWs) এর আবাসিক প্রাঙ্গনে অভিযান চালিয়েছে, ওই সমস্ত নবগঠিত শাখাগুলি এবং বেশ কয়েকটি নিষিদ্ধ কাশ্মীরি সন্ত্রাসী সংগঠনের সহযোগীদের সাথে যুক্ত ।
নতুন উদ্ভূত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির মধ্যে রয়েছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ), ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট জম্মু ও কাশ্মীর (ইউএলএফজেএন্ডকে), মুজাহিদিন গাজওয়াত- উল-হিন্দ (এমজিএইচ), জম্মু ও কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটারস (জেকেএফএফ), কাশ্মীর টাইগারস, পিএএএফ সহ আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন । এই সংগঠনগুলি লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি), জইশ-ই- মোহাম্মদ (জেএম), হিজব-উল-মুজাহিদিন (এইচএম),আল-বদর এবং আল-কায়েদার মতো নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির সাথে যুক্ত হয়ে উপত্যকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে নাশকতা চালানোর ষড়যন্ত্রয় লিপ্ত । এছাড়া অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে স্থানীয় যুবকদের উগ্রপন্থীকরণ এবং ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের সংগঠিত করতেও নিযুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে এনআইএ ।
সংস্থাটি বলেছে যে অভিযানগুলি “জম্মু-কাশ্মীর সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র মামলা” এর সাথে যুক্ত, যা গত বছরের ২১ জুন এনআইএ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে দায়ের করেছিল । এনআইএ তদন্ত অনুসারে, ষড়যন্ত্রের পিছনে পাক-ভিত্তিক কর্মীরা মানুষের মধ্যে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছিল। তারা কাশ্মীর উপত্যকায় তাদের এজেন্ট এবং ক্যাডারদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ, বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্য সরবরাহ করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করছিল ।।