এইদিন ওয়েবডেস্ক,আমস্টারডাম,১৫ জুলাই : কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএস-এর শাখা আইএসআইএল এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত ১২ জন ডাচ মহিলা এবং তাদের সন্তানদের উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার ক্যাম্প থেকে নেদারল্যান্ডে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছিল ।নেদারল্যান্ডসে আসতেই সন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে । তাদের মধ্যে অন্যতম নেদারল্যান্ডসের পূর্বে হেনগেলো শহরের বাসিন্দা ডাচ মহিলা হাসনা আরব । ডাচ প্রসিকিউটরদের মতে, ওই মহিলা ২০১৫ সালে মরক্কোর আইএসআইএল-এর এক সন্ত্রাসীকে বিয়ে করেছিল । চার বছরের ছেলের সাথে নিয়ে তারা সিরিয়ায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে যায় । সেই সময় সিরিয়ান সেনার হাতে ধরা পড়েছিল হাসনা আরব নামে ওই মহিলা ।
হাসনা আরব নামে ওই মহিলারা একজন ইয়াজিদি মহিলাদের দাস বানানোর জন্য পণবন্দি করে রাখে । যা ডাচ আদালতের নজরে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে বিবেচিত হয় । হেগের একটি জেলা আদালত ফেব্রুয়ারিতে আরবের মামলার শুনানি শুরু করে। তারপর থেকে, ডাচ প্রসিকিউটররা বিষয়টি তদন্ত করছেন, যা এখনও প্রাক-বিচারের পর্যায়ে রয়েছে ।
যদিও এই মামলায় এযাবৎ অভিযুক্ত সন্ত্রাসী হাসনা আরব আদালতে আসেননি, তবে তার আইনজীবীরা তার প্রতিনিধিত্ব করেছেন । ডাচ পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিসের মুখপাত্র ব্রেচটজে ভ্যান ডি মুসডিজক জানিয়েছেন, হাসনার আইনজীবীদের দাবি, তার মক্কেলের বাড়িতে এক ইয়াজিদি মহিলা পরিচারিকার কাজ করত । সেই সূত্রে সে হাসনাদের বাড়িতে থাকতো । হাসনা কোন ইয়াজিদিকে ক্রীতদাস করেনি ।
মুসডিজক বলেন, আরাবসহ অন্য নারীদের দেশের পূর্বাঞ্চলের একটি মহিলা কারাগারে রাখা হয়েছে।
এই মামলার মাধ্যমে, নেদারল্যান্ডস জার্মানির পর দ্বিতীয় ইউরোপীয় দেশ যারা ইয়াজিদিদের উপর চালানো ইসলামি সন্ত্রাসীদের অত্যাচারের বিচার করেছে ।।