এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১৮ সেপ্টেম্বর : বিহারে চলমান বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনা (এসআইআর) চলাকালীন ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার পর, অনুমান করা হচ্ছে যে যদি দেশব্যাপী এসআইআর পরিচালিত হয়, তাহলে প্রায় ১৫ কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে। এই অনুমানও করা হচ্ছে কারণ বিহারে এসআইআর থেকে প্রায় ১০ শতাংশ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। এর মধ্যে বিপুল সংখ্যক মৃত, স্থানান্তরিত এবং দ্বৈত-নিবন্ধিত ভোটার, সেইসাথে বাংলাদেশ ও নেপালের মতো দেশগুলির বিদেশী নাগরিকরাও রয়েছে ওই তালিকায় ।
ভোটার তালিকা থেকে বিপুল সংখ্যক ভোটার বাদ পড়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে কারণ বিহার সহ দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে পূর্ববর্তী এসআইআর ২০ বছর আগে, ২০০৩ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিচালিত হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের উচ্চপদস্থ সূত্রের মতে, বিহারের মতো পরিস্থিতি অন্যান্য রাজ্যেও দেখা যেতে পারে। যেখানে মৃত, স্থানান্তরিত, অথবা দুটি ভিন্ন স্থানে নিবন্ধিত বিপুল সংখ্যক ভোটার পাওয়া যাবে। এর মধ্যে, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরালা, ওড়িশা এবং উত্তর প্রদেশে এই ধরনের ভোটারদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি স্থানান্তর এবং অনুপ্রবেশ উভয়ের কারণেই । কমিশনের মতে, বিহারে SIR-এর প্রথম রাউন্ডেই ৬৫ লাখ ভোটারকে বাদ গেছে । সন্দেহজনক নাগরিকত্বের ভিত্তিতে ৩,০০,০০০ জনকে নোটিশও দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, খসড়া তালিকায় যেসব দাবি ও আপত্তি করা হয়েছে, তার মধ্যে ৩,০০,০০০- এরও বেশি দাবি বাদ দেওয়ার জন্যই রাখা হয়েছে । তাই, বিভিন্ন কারণে খসড়া তালিকা থেকে আরও বেশি ভোটার বাদ পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, ৩০শে সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরই এই পরিস্থিতি স্পষ্ট হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় SIR ভোটার তালিকার অসঙ্গতি দূর করবে। এটি ভোটারদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করবে এবং ভোটদানের প্রকৃত চিত্র প্রতিফলিত করবে। যদি ১৫ কোটি লোককে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে ভোটারদের উপস্থিতি প্রায় ১০% বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের নির্বাচনে ১০০ কোটির মধ্যে ভোট দিয়েছিল ৬৬%, যেখানে ৮৫ কোটি ভোটারের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভোটারদের উপস্থিতি হবে প্রায় ৭৭% ।।

