এইদিন ওয়েবডেস্ক,নুহ(হরিয়ানা),০৬ আগস্ট : গত ৩১ জুলাই হরিয়ানার নুহ(Nuh) জেলায় ব্রিজমণ্ডল জলাভিষেক যাত্রার সময় হামলা, খুন,অগ্নিসংযোগ, গুলিবর্ষণ করেছিল মুসলিম জনতা । বহু মহিলা পূণ্যার্থীদের ফাঁকা মাঠের জমিতে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ বা গনধর্ষণের দাবি করেছেন স্থানীয় হিন্দুরা । অনেক অল্প বয়সী পূণ্যার্থী মেয়ের পোশাক ফাঁকা মাঠের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা গেছে,যারা এখনো নিখোঁজ । তাদের শেষ পরিণতি কি হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয় । এদিকে এই ঘটনায় এক তরফা ভাবে গোরক্ষক মনু মানেসর উপর দায় চাপানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশের কথিত সেকুলার ও মুসলিমরা ।
পাশাপাশি এই ঘটনায় হরিয়ানার মেবাতের কংগ্রেস বিধায়ক মাম্মান খানের সাথে জাভেদ আহমেদ ও আফতাবের মতো কংগ্রেসী বা আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতাদের মুসলিম কট্টরপন্থীদের উৎসকে দেওয়ারও অভিযোগ উঠছে । দাবি করা হচ্ছে, জলাভিষেক যাত্রার অনেক আগে থেকেই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল । আগে থেকেই ট্রাকে করে পাথর বোঝাই করে আনা হয়েছিল জলাভিষেক যাত্রায় হামলার জন্য । এদিকে হামলায় বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের জড়িত থাকার প্রমান পেয়েছে হরিয়ানার নুহ জেলার পুলিশ । ইতিমধ্যে দাঙ্গাবাজদের জবরদখল করা ঘরবাড়িতে বুলডোজার চালাচ্ছে প্রশাসন । কিন্তু মূল অভিযুক্তরা এখনো অধরা ।
ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে,গুরুগ্রাম সংলগ্ন সোহনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ যখন নূহ হিংসার জন্য প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন,সেই সময় তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। গুলি লেগে বীরেন্দ্র গুজ্জর, মুনেশ গুজ্জর সহ তিন হিন্দু যুবক গুরুতর আহত হয়েছে । তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে । হামলাকারীরা হল হাকাম, ওয়াসিম, আকরাম, ইয়াসিন ও তাদের দলবল । আর ওই সমস্ত কট্টরপন্থীদের উসকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাভেদ আহমেদ, মাম্মান খান ও আফতাবের মত কংগ্রেসী ও এএপি নেতাদের বিরুদ্ধে । ওই সমস্ত কট্টরপন্থী নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে ।।