এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুয়াহাটি,০৮ জানুয়ারী :‘আসামের মুসলিম জনসংখ্যা ৫ শতাংশ বেড়ে ৪০ শতাংশ হয়েছে এবং হিন্দু জনসংখ্যা ৬০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে । পরবর্তী আদমশুমারি চূড়ান্ত হওয়ার পরেই তা স্পষ্ট বোঝা যাবে’- অর্গানাইজ উইকলির প্রতিবেদন অনুযায়ী একথা জানিয়েছেন আইইউডিএফ বিধায়ক বদরুদ্দিন আজমল (Badruddin Ajmal) । এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিলে বদরুদ্দিন আজমলের ছেলে এআইইউডিএফ বিধায়ক আবদুর রহিম আজমল (Abdur Rahim Ajmal) প্রকাশ্য জনসভায় বলেছিলেন,’আমরা দাড়ি-টুপি-লুঙ্গি ওয়ালা মানুষের সরকার হবো । আমরা দাড়ি-টুপি-বোরখার সম্মান করবো ।’
অন্যদিকে একটি নিউজ পোর্টালের সাথে সাক্ষাৎকারে আইইউডিএফ-এর আরও এক বিধায়ক করিমুদ্দিন বারভূয়ান (Karimuddin Barbhuyan) বলেছেন,’আসামে মুসলিম-হিন্দু ৪০-৬০ হয়ে গেছে । তাই তাদের সম্মতি আর উপেক্ষা করা অসম্ভব ।’ তিনি আসামে সরকারি চাকরিতে মুসলিমদের সংরক্ষণের দাবিও তোলেন । এমনকি দাবি পূরণ না হলে বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ।
সাম্প্রতিক সময়ে আসাম জুড়ে জবরদখল মুক্ত অভিযান শুরু করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা । আর জবরদখলকারীরের সিংহভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ । যার জেরে উচ্ছেদ অভিযানে চরম ক্ষুব্ধ আসামের অভিবাসী মুসলিম ছাত্র সংগঠন এএএমএসইউ । সম্প্রতি তারা হুঁশিয়ারি দেয়,১ কোটি ৫০ লক্ষ মুসলিম যদি রাস্তায় নামে তাহলে গোটা রাজ্য পঙ্গু হয়ে যাবে এবং সেই ভয়াবহ পরিণতির জন্য দায়ি থাকবে আসাম সরকার । শুধু তাইই নয়,উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকলে তারা রাজ্যের রাস্তাগুলিতে ঘরবাড়ি তৈরি করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ।।