এইদিন ওয়েবডেস্ক, পিরোজপুর(বাংলাদেশ), ০৮ আগস্ট : ইসলাম কট্টরপন্থার চরম সীমা অতিক্রিম করেছে বাংলাদেশ । দেশ থেকে হিন্দুদের চিরতরে উৎখাত করতে লাগাতার পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্থানপন্থী বাংলাদেশি মুসলিমরা । সেই লক্ষ্যে ফের একবার হিন্দু মন্দিরকে নিশানা করল জিহাদিরা । এবার ঘটনাস্থল বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলা নাজিরপুর উপজেলা শাখারীকাঠি ইউনিয়নের উওর হুগলাবুনিয়া গ্রাম । শনিবার ভোর রাতে গ্রামের সর্বজনীন কালী মন্দিরে চড়াও হয়ে সমস্ত প্রতিমা ভাঙচুর করে পালিয়ে যায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের দল । ঘটনার পর ব্যাপক আতঙ্কে আছে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ । বিষয়টি স্থানীয় থানাতেও জানানো হয় । কিন্তু দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারির বিষয়ে পুলিশের কোনো আগ্রহই নেই বলে অভিযোগ ।
প্রসঙ্গত,বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আক্রমন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা । গত রবিবার পিরোজপুরের সদর উপজেলার কাথুলিয়া গ্রামের দেবী শীতলার মন্দিরে হামলা চালিয়েছিল স্থানীয় মাদ্রাসার ৪ ছাত্র । তাঁরা ওই মন্দিরের শীতলা মুর্তিটিকে ভাঙচুর করে । স্থানীয়রা তাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় । গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাধবপুর উপজেলার চাতিয়ান ইউনিয়নের শিমুলঘর সড়ক বাজারে তিন হিন্দু মৎস্যজীবিকে মাছ না দেওয়ার অছিলায় ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে মুসলিম কিছু সম্প্রদায়ের মানুষদের বিরুদ্ধে । সাম্প্রতিক কালে নড়াইলে হিন্দুদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছিল মুসলিম কট্টরপন্থীদের দল । আর এই সংগঠিত হামলার পিছনে খালেদা জিয়ার দল বিএনপির এক নেতার হাত ছিল বলে অভিযোগ । তবে শুধু বিএনপিই নয়,হিন্দুদের উপর এমন অনেক হামলার ঘটনা ঘটেছে যার নেতৃত্বে দেখা গিয়েছে শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের নেতাদেরও । এছাড়া বাংলাদেশের কট্টরপন্থী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর হামলা তো রয়েছেন । এক কথায় দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবন । ফলে প্রতিবছর হু হু করে কমছে বাংলাদেশি হিন্দুদের সংখ্যা । আতঙ্কিত হিন্দুরা দেশ ত্যাগ করে দলে দলে ভারতে পালিয়ে আসছে । বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জনগননার রিপোর্টে সেই চিত্রই উঠে এসেছে ।।