এইদিন ওয়েবডেস্ক,চট্টগ্রাম(বাংলাদেশ),১৯ নভেম্বর : প্রেমের টানে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু যুবককে বিয়ে করলেন এক সন্তানের মা । ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের হাটাজারী উপজেলায় । হাটাজারীর পশ্চিম মেখল গ্রামের বাসিন্দা সাজুনা আক্তার নিশু (২৬) নামে ওই তরুনী একই এলাকার বাসিন্দা গোপাল নাথের ছেলে শয়ন নাথ (২১) নামে এক হিন্দু যুবকের সাথে রাঙ্গামাটির চন্দ্রঘোনার বাঙ্গালহালিয়ার একটি শিব মন্দিরে গিয়ে হিন্দু রীতি মেনে বিয়ের করেছেন বলে জানা গেছে । ধর্ম পরিবর্তনের পর সাজুনা তাঁর নতুন নাম রেখেছেন রুদ্রানী দেবী । বিয়ের পর তাঁরা বাঙ্গালহালিয়া বাজারে ঘর ভাড়া করে বসবাস করছিলেন । কিন্তু আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় ওই দম্পতি আত্মগোপনে চলে যেতে বাধ্য হন । এদিকে মেয়েকে ফের ইসলাম ধর্মে ফিরিয়ে আনতে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন সাজুনার মা রোজি আক্তার । তিনি থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরিও করেছেন ।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে,হাটাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মেখল গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ ইদ্রিসের মেয়ে সাজুনা আক্তার নিশু । ইদ্রিস কর্মসূত্রে ওমানে থাকেন । এর আগে সাজুনা আক্তার নিশুর বিয়ে হয়েছিল হাটাজারী কলেজ গেটের কামাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা ইমনের সাথে । তাঁদের ৪ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে । তবে ইমনের সাথে তার দুই বছর আগেই ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকে সাজুনা মেয়েকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতেই ছিলেন। ডিভোর্সের পর সাজুনাকে ফের কলেজে ভর্তি করে দেন তাঁর মা । টেকনিক্যাল কলেজে আইএ-তে পড়াশোনা করছিলেন ওই তরুনী । ইতিমধ্যে একই এলাকার হিন্দু যুবক শয়ন নাথের প্রেমে পড়ে যান সাজুনা আক্তার ।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর বান্ধবীর বাড়িতে ২ দিনের জন্য বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে হয়েছিলেন সাজুনা । কিন্তু তিনি আর বাড়ি ফেরেননি । তারপর গত ২৯ অক্টোবর রাতে বাঙ্গালহালিয়াতে স্থানীয় কয়েকজন হিন্দু যুবকের সহযোগিতায় শিব মন্দিরে গিয়ে শয়ন নাথের সঙ্গে বিয়ে করেন সাজুনা । মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে গত ৮ নভেম্বর থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করেন তরুনীর মা রোজি আক্তার । তবে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাঙ্গালহালিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খুঁজে বেড়ালেও তিনি মেয়ের কোনো সন্ধান পাননি ।
এদিকে শয়ন-সাজুনাকে যিনি বিয়ে দিয়েছিলেন শিব মন্দিরের পুরোহিত কাজল চক্রবর্তীর হামলার আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়ে গেছে । তিনি বলেছেন, বিয়ের দিন স্থানীয় বাসিন্দা অরুণ চৌধুরী, হারাধন কর্মকার (মন্দির কমিটির সভাপতি), সজল, সুমন আর সুজন এই পাঁচজন মিলে ওই তরুন তরুনীকে বিয়ের জন্য মন্দিরে নিয়ে এসেছিল । কিন্তু মেয়েটি যে মুসলিম তারা একথা আমার কাছে গোপন করে গিয়েছিল । বিয়ের পর বিষয়টি জানতে পারলে আমি তাদের এনিয়ে প্রশ্ন করি । তখন তারা হাসি ঠাট্টা করে বিষয়টি উড়িয়ে দেয় । এখন হামলা হলে কে বাঁচাবে আমায় ?’