প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,৩০ নভেম্বর : রাতের অন্ধকারে সোনার দোকানের শাটার ভেঙে অলংকার সামগ্রী চুরি করে নিয়ে পালালো দুষ্কৃতিদল । সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার কাইতি বাজারে । এই ঘটনা জানাজানি হতেই মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কাইতির স্বর্ণ ব্যবসায়ী মহলে । দোকানে চুরির বিষয়ে মাধবডিহি থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ী রামকৃষ্ণ মণ্ডল ও তাঁর ছেলে অমিত মণ্ডল । পুলিশ সোনার দোকানে চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুস্কৃতিরের কেউধরা পড়েনি বলে জানা গিয়েছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , রায়না থানার সেহারাবাজার পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামে বাড়ি স্বর্ণ ব্যবসায়ী রামকৃষ্ণ মণ্ডলের । মাধবডিহির কাইতি বাজারে রয়েছে তাঁর সোনা রুপোর গহনার দোকান । দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে রামকৃষ্ণবাবু ওই দোকান চালাচ্ছেন এখন রামকৃষ্ণবাবু ও তাঁর ছেলে অমিত মণ্ডল মিলে দোকান চালান । অন্যান দিনের মত সোমবার সন্ধ্যার পর তাঁরা তাঁদের দোকান বন্ধকরে রায়নার বাড়িতে চলে যান ।গভীর রাতে সশস্ত্র দুস্কৃতি দল এলাকায় প্রহরারত সিভিক ভলেন্টিয়ারদের হঠিয়ে দিয়ে সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটায় বলে কাইতি বাজারের ব্যবসায়ীদের কথায় জানা গিয়েছে ।
অমিত মণ্ডল জানিয়েছেন ,মঙ্গলবার ভোর ৪ টের পর তিনি তাঁদের দোকানে চুরি হওয়ার কথা সিভিকভলেন্টিয়ার মাধ্যমে জানতে পারেন ।তার পর তিনি ও তাঁর বাবা দোকানে যান।দোকানে গিয়ে দেখেন দোকানের সাটার ছাড়াও আরও দুটি দরজা ভেঙে দুস্কৃতিরা দোকানের ভিতরে ঢুকেছিল । দোকান থেকে দুস্কৃতিরা প্রায় ৬-৭ ভরির মত রুপোর গয়না নিয়েগেছে।এছাড়াও ধনতেরাশের সময় তৈরি করে রাখা হাল্কা ওজনের রুপোর লক্ষ্মী ও গনেশের কিছু মূর্তি ও সিটিগোল্ডের অলংকার দুস্কৃতিরা নিয়ে গিয়েছে । অমিত বলেন , রাতে টাকা পয়সা তাঁরা দোকানে রাখতেন না । চুরি যাওয়া সব সামগ্রীর মূল্য ১৫-২০ হাজার মতো হবে ।অমিত এও বলেন ,দুস্কৃতিরা সশস্ত্র অবস্থায় ছিল বলে তিনিও জানতে পেরেছেন ।
সোনার দোকানে চুরির ঘটনার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে এদিনই মাধবডিহি থানায় পৌছান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহ রায় , এসডিপিও ( বর্ধমান দক্ষিণ ) আমিনুল ইসলাম খান সহ অন্য পুলিশ কর্তারা । অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন , ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । যে সিভিক ভলেন্টিয়ারা ডিউটিতে ছিল তাদের সঙ্গেও কথা বলে ঘটনার বিষয়ে জানা হচ্ছে ।।