প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৯ আগস্ট : আরজি কর কাণ্ড নিয়ে গোটা বাংলা জুড়ে আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ছে।আর তা নিয়েই সোমবার বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ।এদিন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,’বাংলাদেশের মত পরিস্থিতির দিকেই পশ্চিমবঙ্গ এগোচ্ছে।ছাত্র-যুব সকলে এক হয়ে যাওয়া গণ আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছে, যা বাংলাদেশের চিত্র সামনে এনে দিচ্ছে’। যদিও দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে কোন গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্যপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন,’চটকদারী কথা বলে দিলীপ ঘোষ বাজার গরম করতে চাইছেন।’
রাখী বন্ধন উৎসবকে সামনে রেখেই এদিন মূলত পথে নামেন দিলীপ ঘোষ । কাটোয়া স্টেশন চত্বরে মহিলাদের হাতে রাখি পরিয়ে দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,’মায়েদের,বোনেদের হাতে রাখী বেঁধে দিয়ে তাদের সুরক্ষার জন্য শপথ নিন।যাতে পশ্চিমবঙ্গে একজনও মহিলার গায়ে হাত না পরে, কোন অসম্মান হবে না, অসুরক্ষা ও হবে না।’ দিলীপ ঘোষ দাবি করেন,“পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা সুরক্ষিত নয়। আরজিকরে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তার জন্য সরাসরি ভাবে দায়ী রাজ্য সরকার। তিনি এও জানান এর রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নয়, তাই রাখী বন্ধন উৎসবের দিন সকল মহিলাদের হাতে রাখি পরিয়ে দিয়ে তাদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে পুরুষদের।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে গণ আন্দোলন ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,ছাত্র-যুব সকলে এক হয়ে গেছেন । একটা গণ-আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছে,যা বাংলাদেশের চিত্র সামনে এনে দিচ্ছে।১৪ আগষ্ট রাতে আরজিকরের ভেতরে যে সব দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিলেন তারা তৃণমূল কংগ্রেসেরই লোক।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দমন পিড়ন নীতি নিয়ে কাজ করছে। তার বিরুদ্ধে যখন কেউ কথা বলছে তখন তাদেরকে পুলিশ দিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে। যা থেকে তার দলের নেতা-সাংসদ রাও বাদ যাচ্ছে না। তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা আরজিকরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। কারণ তাঁরা বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশের মতো অবস্থা বাংলায় হতে চলেছে। বাংলাদেশে যেমন নেতা-মন্ত্রীদের ওপর আক্রমণ হয়।পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতিও সেদিকেই এগোচ্ছে। তাই তারা এর বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। তারা সরব হতেই তাদের দমন করার জন্য পুলিশকে ব্যবহার করছে রাজ্য সরকার।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বৈরাচারী মানসিকতা এবং তাদের দলের নেতাদের ধমক চমক দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা আর চলবে না বলে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন ।।