দিব্যেন্দু রায়,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),২০ অক্টোবর : ‘অপারেশন’ সফল হওয়ার পর গা-ঢাকা দিতে সোজা চেন্নাই । তারপর চেন্নাইয়ের মানালি এলাকায় একটি সরকারি আবাসনে রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু । ধরা পড়ার আশঙ্কায় বন্ধ ছিল মোবাইল ব্যাবহারও । এত সতর্কতা সত্ত্বেও কিন্তু শেষ রক্ষা হল না । মঙ্গলকোটের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অসীম দাস খুনের ঘটনার মূল সুপারিকিলার মহন্মদ সুরজকে মানালি থেকে পাকড়াও করে আনল সিআইডির একটি দল । বৃহস্পতিবার ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে সিআইডি সুত্রে জানা গেছে ।
চলতি বছরের ১২ জুলাই সন্ধ্যেয় খুন হন তৃণমূলের লাখুড়িয়া অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস । শিউর গ্রামের মোড়ে খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে খুন করে পালায় দুষ্কৃতিরা । ঘটনার চার দিনের মাথায় ১৬ জুন ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে । তদন্তে যত এগুতে থাকে ততই পরিষ্কার হতে থাকে খুনের মোটিভ ।
মঙ্গলকোটে অজয় নদে অবৈধ বালির কারবারে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারনেই অসীমবাবু খুন হন বলে জানতে পারে সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা । গ্রেফতার হয় মূল অভিযুক্ত তথা অবৈধ বালির কারবারি শেখ রাজু । তাকে জেরা করে ১৩ আগস্ট বীরভূম জেলার ঘিদহ গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কাঠমিস্ত্রী শেখ খোকন ওরফে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি । তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পারেন বাবুলর মাধ্যমেই হয়েছিল সুপারিকিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেন । শেষ পর্যন্ত মূল সুপারি কিলার বীরভূম জেলার ঘিদহ গ্রামের বাসিন্দা মহন্মদ সুরজ সিআইডির জালে ধরা পড়ল । তৃণমূল নেতা অসীম দাসকে খুনের মামলায় এযাবৎ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হল ।।