ভারতের শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেস আর বামপন্থীদের চোখে নারী লোলুপ ‘লম্পট’ আকবর ছিল ‘দ্য গ্রেট’ । আর তারা সেই মত নিজেদের এজেন্ডা অনুযায়ী ভারতের বিকৃত ইতিহাস রচনা করে গেছে । আমরা এতদিন জেনে এসেছি যে আকবর ছিল ‘মহান সম্রাট’ । কিন্তু এমন অনেক ঐতিহাসিক আছেন যারা আকবরের ঘৃণ্য চরিত্রকে সবার সামনে তুলে ধরেছেন । আসলে আকবর খুবই কম বয়সে সিংহাসনে বসে । কিন্তু কম বয়স হলেও তার নারী লোলুপতা ইতিহাস প্রসিদ্ধ ছিল। ঐতিহাসিক ঠাকুর রাম সিং শেখাওয়াত একটা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ইতিহাসের ৮০ শতাংশ পাঠ্য বইয়ে ভুল পড়ানো হচ্ছে। এখন ভারতীয় ইতিহাস নতুন করে লেখা দরকার। পুনর্লিখনের পাশাপাশি সত্য ঘটনাও এতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আকবর যাকে মহান বলা হয়, তিনি আসলে একজন খুনি ও হিন্দু নারী ধর্ষক । ওয়েবদুনিয়ার সঙ্গে বিশেষ কথোপকথনে শেখাওয়াত বলেন, স্বাধীনতার পর পাঠ্যসূচিতে ইতিহাস সম্পর্কে ভুল তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের প্রায় ৮০ শতাংশ ইতিহাস ভুলভাবে পড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেছেন,ইতিহাস পরিবর্তনের মূল কারণ ছিল দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আজাদের ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে কোনও জ্ঞান ছিল না। তাঁর নির্দেশে এবং তাঁর স্থলাভিষিক্ত মুসলিম শিক্ষামন্ত্রীদের নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে ইতিহাসে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়।
কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের ‘আকবর দ্য গ্রেট’-এর লাম্পট্য এবং ক্রুরতার নজির হল মধ্যপ্রদেশের মালবা রাজ্যের রাজধানী মান্ডু বা মান্ডবগড় রাজ্য আক্রমণ ।সেখানকার স্বাধীন সুলতান বাজবাহাদুরের পরমা সুন্দরী রাণী রূপমতীর কথা লম্পট আকবরের কানে গেলে তার যৌনক্ষুধা জেগে ওঠে । বাজ বাহাদুর এবং রূপমতীর প্রেমকাহিনী খুবই প্রসিদ্ধ। রাণী রূপমতীর রূপের কথা শুনে আকবর দূত মারফৎ রাজাকে চিঠি পাঠিয়ে রাণীকে দিল্লিতে তাঁর দরবারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় । বাজ বাহাদুর প্রত্যাখ্যান করেন এবং আকবরের কাছে একটি পত্র দিয়ে জানিয়ে দেন যে তার রাণী দিল্লি যাবে না । ১৯৯৯ খৃষ্টাব্দে আহমদ-উল- তুর্কমানের লেখা গ্রন্থ , ঐতিহাসিক এমডি খাড়ে( M. D. Khare) এর লেখা পুস্তক “মালবা থ্রু থে এসে”(Malwa Through the essay) , প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক আরসি মজুমদারের লেখা এবং আইনি আকবরী থেকে জানা যায় আকবর নিজের অনৈতিক যৌনলালসা পুরনের জন্য সুলতান বাজ বাহাদুরের সুন্দরী পত্নী রাণী রূপমতীকে পেতে আকবর ক্রুর সেনাপতি আসফ খাঁর নেতৃত্বে মালবা আক্রমণ করে। ১৫৬২ সালে, দূর্বল রাজা বাজবাহাদুর সহজেই পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায় এবং পরে মারা যায় । রাণী রূপমতীকে সেনাপতি আসফ খাঁ দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পথেই ধর্ষণ করে এবং আকবরকে যেন না বলে সেই ভয় দেখিয়ে আকবরের কাছে পাঠিয়ে দেয় । কিন্তু সেখানে পৌছনোর পরই বিষ খেয়ে অসুস্থ হয়ে রাণী মারা যায়। এই যুদ্ধের পর আকবরের সেনাপতি আসফ খাঁ আকবরকে দূতের মাধ্যমে চিঠি লিখে জানিয়েছিল –“মালওয়া এবং নিমাড় রাজ্যকে হিন্দু বিহীন করে দেওয়া হয়েছে ।” এই চিঠির কথা ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথের লেখায় উল্লেখ আছে। ঐতিহাসিক শেখাওয়াত “হত্যারা মহান বন গঁয়া” নামক পুস্তকে লিখেছেন আকবর যত হিন্দু নরসংহার করিয়েছে এবং নারীদের ইজ্জত লুটেছে ও লুট করিয়েছে তা অন্যকোন মুসলিম শাসক করেনি। বস্তুত মালওয়া রাজ্যে হিন্দু অস্তিত্বহীন করে দিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে আকবরের সেনা সেখানে অবস্থান করে এবং নারীদের সার্বজনিকভাবে গণধর্ষণ করে এবং এতে অসংখ্য নারী মৃত্যবরণ করেন ।।