এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,০৪ জানুয়ারী : ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দু মহাজোটের নেতার ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশের আদালত । সাজাপ্রাপ্তের নাম রাকেশ রায় । তিনি হিন্দু মহাজোটের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক প্রাক্তন সম্পাদক । মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর সাজা ঘোষণা করেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল সিলেট আদালতের বিচারক মোহম্মদ আবুল কাশেম । জানা গেছে,সিলেট জেলার জকিগঞ্জের কেরাইয়া গ্রামের মৃত সুরেশ রায়ের ছেলে রাকেশ । ২০১৭ সালের জুন মাসের শুরুর দিকে তিনি মুসলিমদের নবিকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন । তারপরেই এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন তুমুল হইহট্টগোল শুরু করে দেন । রাকেশের শাস্তির দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিলও বের করে তারা ।
জানা গেছে,এই ঘটনায় ওই বছরের ৫ জুন জকিগঞ্জ থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন
মাওলানা ফুজায়েল আহমদ নামে স্থানীয় এক আলেম । মামলা দায়েরের পর রাকেশ রায়কে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ । পুলিশ তাঁকে চার দিনের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল । যদিও পরে জামিন পেয়ে যান ওই যুবক । এদিকে বিদেশে চলে যান মামলাকারী । তার পরিবর্তে মামলা চালানোর দায়িত্ব নেয় মামলাকারীর বাবা মাওলানা আব্দুল মুকিত । সম্প্রতি রাকেশ রায়কে দোষী সব্যস্ত করে আদালত । মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হয় ।
এদিকে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এনিয়ে ভয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করলেও বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাঁরা দ্বিচারিতার অভিযোগ এনেছেন । তাঁদের অভিযোগ,বছর খানেক আগে বাংলাদেশের এক কট্টরপন্থী মুসলিম মহিলার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল । ভিডিওতে বোরখা পরিহিতা ওই মহিলাকে তার স্বজাতীয়দের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘হিন্দুদের পূজো করা পুতুল গুলো লাথি মেরে ভেঙে ফেলুন । যদি লাথি মারতে গিয়ে পায়ে ব্যাথা হয় তাহলে বোমা মেরে উড়িয়ে দিন ।’ মহিলাকে স্পষ্ট দেখা গেলেও তাঁর পরিচয় জানা যায়নি । কিন্তু এতবড় ধর্ম অবমাননার পরেও মহিলার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ । এনিয়ে বাংলাদেশের হিন্দুরা একদিকে যেমন ক্ষুব্ধ, অন্যদিকে তেমনি ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কখন কোন হিন্দুকে জেলে পুরে দেওয়া হয় এনিয়ে তাঁরা আশঙ্কিতও ।।