এইদিন ওয়েবডেস্ক,সুনামগঞ্জ,০৪ এপ্রিল : বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন হাছন নগর এলাকার বাসিন্দা ৪ হিন্দু পরিবারের জমি গায়ের জোরে দখল করার অভিযোগ উঠল মুসলিম প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে । জবরদখলকারীরা হল স্থানীয় বাসিন্দা নুর মিয়া ও মতিন মিয়া । জমিজমা হারিয়ে এখন কার্যত পথে বসেছে ওই পরিবারগুলি । এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েও পুলিশ বা প্রশাসনের কোনো প্রকার সহযোগিতা মেলেনি বলে অভিযোগ । শাসকদল আওয়ামী লীগের নেতারাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে । শেষ পর্যন্ত ওই চার অসহায় হিন্দু পরিবারের লোকজন সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছে।
গত ২৪ মার্চ শুক্রবার বিকাল ৫ টা নাগাদ সুনামগঞ্জ পৌরবিপনীর দ্বিতীয় তলায় সুনামগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির অফিসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সর্বস্ব হারানো চার হিন্দু পরিবারের লোকজন । উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের সদস্য উকিল বিশ্বাস, অজিৎ বিশ্বাস রুপনা বিশ্বাস, কল্পনা বিশ্বাস, ববিতা বিশ্বাস, নবম শ্রেনীর ছাত্রী অপি বিশ্বাসসহ আর অনেকে।
উকিল বিশ্বাস ও অজিৎ বিশ্বাসরা জানান,সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন হাছন নগর (সুলতানপুর) এলাকায় তাদের পৈত্রিক জায়গার উপর পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন । তার মধ্যে রয়েছে ২৬২ খতিয়ানের ৯ দাগে ১২ শতক, এবং একই খতিয়ানের ১০ দাগে ১১ শতক মিলে মোট ২৩ শতক জায়গার উপর তাদের বসতবাড়ি,ডোবা এবং শব্জি চাষের জমি রয়েছে । সম্প্রতি ১০ দাগের ১১ শতক জায়গা থেকে স্থানীয় বাসিন্দা মতিন মিয়াদের ৫ শতক জায়গা বিক্রয় করা হয় । অবশিষ্ট ১৮ শতক জায়গার তাদের নিজেদের দখলেই ছিল । ওই জায়গার পাশেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন নুর মিয়াও ।
তাঁদের অভিযোগ,বিগত কয়েক বছর ধরে নুর মিয়া ও মতিন মিয়া মিলে তাদের জায়গা একটু একটু করে দখল করতে শুরু করে । সম্প্রতি তাদের পরিবারকে উচ্ছেদের জন্য ওই দুই মুসলিম ব্যক্তি লোকজন জুটিয়ে তাদের উপর হামলা চালায় । বর্তমানে তারা দু’জন আমাদের গোটা জায়গা আত্মসাৎ করার জন্য বাঁশের খুঁটি পুঁতে দখলের চেষ্টা করছে । এমনকি সেখানে তারা মাটি ভরাটও করতে শুরু করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা ।
উকিল বিশ্বাস ও অজিৎ বিশ্বাসরা বলেন,’বিষয়টি নিয়ে আমরা পুলিশ ও প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম । কিন্তু মতিন মিয়া ও নুর মিয়ারা দলে ভারি হওয়ায় কোনো প্রকার সহযোগিতা পাচ্ছি না আমরা । এখন নুর মিয়া ও মতিন মিয়ারা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে এনিয়ে মামলা মোকাদ্দমা করলে পরিবারের সবাইকে প্রকাশ্যে প্রাণে মেরে ফেলা হবে । সেই কারনে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আনার জন্য আমরা সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি ।’।