এইদিন ওয়েবডেস্ক,১৮ নভেম্বর : সন্ত্রাসবাদী,খুনিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে জাস্টিন ট্রুডোর দেশ কানাডা । ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্থানি সন্ত্রাসীরা কানাডার নিরাপদ আশ্রয়ে বসে ভারত বিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেলেও তাতে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন ট্রুডো । এবারে স্বাধীন বাংলাদেশের জনক শেখ মুজিবুর রহমান ওরফে বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীর দেখা মিললো কানাডায় । মুজিবুর রহমানকে নিজের হাতে গুলি করে খুন করেছিল নূর চৌধুরী । বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে টরোন্টো থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরের একটি অখ্যাত এলাকা ইটোবিকোর একটি কনডোমিনিয়ামের তিনতলায় বসবাস করছে নূর চৌধুরী । সিবিসির অনুসন্ধানী ক্যামেরায় তার উপস্থিতি ধরা পড়েছে৷
সিবিসি টেলিভিশিনের জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ ‘দ্য ফিফথ স্টেট’-এ ‘দ্য অ্যাসাসিন নেক্সট ডোর’ শিরোনামে ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদন নূর চৌধুরীর কানাডায় উপস্থিতির খবর সম্প্রচারিত হয়েছে । প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,শেখ মুজিবুর রহমানকে খুনের পর কানাডায় পালিয়ে নূর চৌধুরী । বিগত ২৭ বছর ধরে কানাডার এক অখ্যাত এলাকায় বসবাস করছে বঙ্গবন্ধুর খুনি । আর তাকে কানাডার নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে দেওয়ার পিছনে পাকিস্তানেরই হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে । শুধু তাইই নয়, বঙ্গবন্ধুর খুনিকে পাকিস্তান আর্থিকভাবেও সহযোগিতা করেছে বলে অনুমান অভিজ্ঞ মহলের ।
সিবিসির প্রতিবেদনে টরন্টোর বাড়ির ব্যালকনিতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখানো হয়েছে । গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সময় নূরকে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা অবস্থায় দেখা যায়। প্রতিবেদক কথা বলার চেষ্টা করলে কথা না বলেই দ্রুত গাড়ি চালিয়ে চলে যান তিনি । কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেছেন,এই একটি ইস্যু বাদে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কেবল বাংলাদেশি হাইকমিশনার হিসেবে নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি চাই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক ।
উল্লেখ্য,মুজিবুর রহমানের খুনি নূর চৌধুরীকে একবার হাতে পেলে ফাঁসিতে ঝোলাতে কালবিলম্ব করবে না শেখ হাসিনা সরকার । তবে কথিত সেকুলার কানাডা তাকে বাংলাদেশের হাতে আদপেই হস্তান্তর করবে কিনা সেবিষয়ে সংশয় আছে ।।