এইদিন ওয়েবডেস্ক,শেরপুর(বাংলাদেশ),২৭ জুন : বাংলাদেশের শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের পুটল গ্রামে স্বশুরবাড়িতে ঢুকে স্ত্রী ও শাশুড়িসহ তিনজনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় ঘাতক জামাই মিন্টু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । খুনের পর সে আত্মগোপনের জন্য একটি আম গাছকে বেছে নিয়েছিল । কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাকে ধরে ফেলে । শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত ঘটনা বর্ণনা করে মিন্টু মিয়া নিজের দোষ কবুল করে জবানবন্দি দিয়েছেন ।
আদালতে মিন্টু মিয়া জানিয়েছে,বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বোরকা পরে সে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে পড়ে । বোরখার আড়ালে নিয়ে যায় একটি ধারালো হাঁসুয়া । তারপর সে একে একে শ্বশুর মনু মিয়া,শ্যালক শাহাদাৎ হোসেন,শাশুড়ি শেফালী বেগম, জ্যাঠাশ্বশুর নুর মোহাম্মদ ওরফে মাহমুদ হাজি এবং জ্যাঠি শাশুড়ি সাহেরা খাতুনকে কোপায় । শেষে স্ত্রী মনিরা বেগমকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায় ।
হামলাকারী জানিয়েছে,শ্বশুরবাড়ি থেকে বেড়িয়ে কিছু দূর যাওয়ার পর ধরা পড়ার ভয়ে ক্ষেতের মধ্যে বোরখা খুলে ফেলে দেয় । তারপর একটি আমগাছে উঠে লুকিয়ে থাকে । শুক্রবার ভোরে অন্য কোথাও গিয়ে আত্মগোপন করার পরিকল্পনা করেছিল । কিন্তু পালাবার ঠিক মুহুর্তে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে ।
শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান,নিহত মনিরার ছোট বোন মিনারা বেগম মিন্টু মিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রজু করেন । আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তকাজ সম্পন্ন করে এ মামলা চার্জশিট দেওয়া যাবে বলে তিনি জানান । জানা গেছে,এই ঘটনায় ঘাতক জামাইয়ের শ্বশুর মনু মিয়া, জ্যাঠা শাশুড়ি সাহেরা খাতুন ও শ্যালক শাহাদাৎ হোসেন এখনও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।।