এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বাই,২২ আগস্ট : বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার নামে হিন্দুধর্মকে ছোট করে বহু ছবি নির্মিত হয়েছে । পাশাপাশি হিন্দি ছবির নির্মাতারা অনান্য ধর্মকে মহিমান্বিত করার কাজ চালিয়ে গেছে । দেশে কংগ্রেসের শাসন থাকায় এতদিন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির এই ‘ভন্ডামি’ মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে বহু মানুষ । কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার দেশে ক্ষমতায় আসার পর সেই মানুষরা হ্যাশট্যাগ বয়কট বলিউড ট্রেন্ড চালাতে শুরু করে । যাতে বিপুল ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় হিন্দি ছবির নির্মাতাদের । ফের একবার বলিউড ইন্ডাস্ট্রির তথাকথিত উদারপন্থী অভিনেতা, অভিনেত্রী, সাংবাদিকদের ‘ভন্ডামি’ লক্ষ্য করা গেল ।
নাসিরুদ্দিন শাহ ও তার স্ত্রী রত্না পাঠক শাহের মত যেসমস্ত তথাথিত উদারপন্থী বামপন্থী অভিনেতা- অভিনেত্রী এবং কিছু সাংবাদিক ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট দক্ষিণ ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের নাশকতার পর চোখ বুজে ছিল, তারাই ফিলিস্তিনের সমর্থনের নামে ইসরায়েলি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বাতিল করে দিতে বাধ্য করেছে।
ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (NFDC) উদ্যোগে ইসরায়েলি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালটি মুম্বাইয়ের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ইন্ডিয়া সিনেমায় (NMIC)আয়োজন করার কথা ছিল। এতে ইসরায়েলি শিল্পী ও চলচ্চিত্রের লোকজনও অংশ নেওয়ার কথা ছিল তাতে । এছাড়া এই উৎসবে ইসরায়েলি চলচ্চিত্রও প্রদর্শিত হত । কিন্তু নাসিরুদ্দিন শাহ, তার স্ত্রী রত্না পাঠক শাহ এবং অন্যান্য তথাকথিত উদারপন্থী বামপন্থী সাংবাদিক-অভিনেতাদের আপিলের পর তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবছর ইসরায়েলি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল উৎসবটি যৌথভাবে আয়োজন করে আসছে এনএফডিসি ও এনএমআইসি । কিন্তু এবারে উৎসব আয়োজনের আগেই সিনেমার উদারপন্থী-বাম লবি এর বিরোধিতা শুরু করে। তিনি এটিকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত করে তা বাতিলের দাবি জানান। দেশে ‘ভয়ের পরিবেশ’ নিয়ে কথা বলা নাসিরুদ্দিন শাহ এবং তার স্ত্রী রত্না পাঠক শাহ, যিনি সেটে ইসরায়েলি ছবির যৌনতা বাহানা খাড়া করেছেন এবং উলটে তারা এই চলচ্চিত্র উৎসব বাতিল করার জন্য এনএফডিসিকে দাবি করেছেন। নাসিরুদ্দিন ছাড়াও সেই সমস্ত তথাকথিত উদারপন্থীরা হলেন, ডকুমেন্টারি নির্মাতা আনন্দ পাটবর্ধন, তুষার গান্ধী যিনি নকশালদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন এবং শবনম হাশমি, একজন কংগ্রেসপন্থী কর্মী যিনি কৃষকদের আন্দোলনে ভুয়া খবর ছড়িয়েছিলেন।
বামপন্থী-উদারপন্থী মতাদর্শের এমন প্রায় ২৫ জন সাংবাদিক, অভিনেতা ও লেখক এ বিষয়ে চিঠি লিখেছেন। এই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, ইসরাইল গাজার অভ্যন্তরে ১ লাখ ৮ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। এই পরিসংখ্যানের জন্য একটি সমীক্ষা উদ্ধৃত করা হয়েছে, যার উপর ক্রমাগত প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে,’এনএফডিসি-র এই স্ক্রিনিং এমন সময়ে আয়োজন করা হচ্ছে যখন সমগ্র বিশ্ব ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ, গাজা এবং ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা প্রত্যক্ষ করছে।’ এই চিঠিতে বলা হয়েছে যে ভারত ফিলিস্তিনকে নিজের দেশ বলে মনে করে এবং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধে শান্তির কথা বলে আসছে, এমন পরিস্থিতিতে এই চলচ্চিত্র উৎসব বাতিল করা উচিত। তাদের আপত্তির পরে, বুধবার তথ্য প্রকাশ্যে আসে যে ইসরায়েলি চলচ্চিত্র উৎসব বাতিল করেছে এনএফডিসি । যদিও এনএফডিসি থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি সামনে আসেনি।।