প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৯ আগষ্ট : ছোট বেলায় আাঁকার প্রতি ভালোবাসা থেকে রং তুলি নিয়ে আঁকাঝোকা করতেন । তাবলে অঙ্কনে বিশেষ কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরুপ দেশজোড়া স্বীকৃতি মিলবে এমনটা কল্পনাও করেননি নিশা দত্ত। কিন্তু সেটাই সত্যি হয়েছে। মান্ডালা আর্টে’ অসামান্য কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরুপ ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস সন্মানিত
করেছে বঙ্গতনয়া নিশা দত্তকে। তিনি পেয়েছেন ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের মানপত্র ও মেডেল । এমন পুরস্কার প্রাপ্তিতে নিশা যেমন খুশি তেমনি খুশি তাঁর বাবা মা ও দাদা ।
বছর ২৫ বয়সী নিশা দত্তর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের
কাটোয়া শহরের সার্কাস ময়দান ইন্দিরা পল্লী এলাকায় । ২০১৯ সালে তিনি কাটোয়া কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন।নিশার বাবা তরুণ কমার দত্ত উত্তর প্রদেশের একটি বেসরকারী সংস্থায় কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি অবসর গ্রহন করেছেন । মা তন্দ্রা দত্ত সাধারণ গৃহবধূ । নিশার দাদা রণিত দত্ত পিএইচডি করতে গিয়েছেন ব্যাঙ্গালোরে। আঁকা ঝোকার ব্যাপারে নিশাকে প্রেরণা যোগান তাঁর বাবা মা। তাই
মেয়ের সাফল্যে তাঁরা যারপরনাই খুশি ।
কোটোয়ার বাড়িতে নিশার আঁকা ঝোকার জন্য
ছাড়া রয়েছে একটি ঘর। সেই ঘরের যে দিকেই
তাকানো হোক , দেখা যাবে শুধু রং তুলি সহ
ছবি অাঁকার নানা সরঞ্জাম। রবিবার ইণ্ডিয়ান
এক্সপ্রেস বাংলাকে নিশা জানান , ছোট বয়সে
অাঁকার প্রতি তাঁর একটা ভালোবাসা তৈরি হয় ।সেই সময় কখনও রং পেন্সিল আবার কখনও রং তুলি নিয়ে আঁকিবুক করতেন । কোন অঙ্কন শিক্ষকের কাছে আঁকাও শেখেননি । তাই ছোট বয়সে যা আঁকতেন তা ভালো হচ্ছে না খারাপ হচ্ছে সেটা বোঝার ক্ষমতাও তাঁর ছিল না।পরবর্তী সময়ে স্কুল জীবনে ছবি আঁকায় আর সেই ভাবে মনোনিবেশ করেননি ।
নিশা বলেন ,এরপর ২০১৮ সালে হঠাৎ করেই ইউটিউব মাধ্যমে ’মান্ডালা আর্টের’ সঙ্গে তিনি পরিচিত হন । ইউটিউব ঘেঁটেই তিনি ’মান্ডালা আর্টের’ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন। তার পর শখের বসেই তিনি তিব্বতের বিখ্যাত ’মান্ডালা আর্ট’ নিজে রপ্ত করা শুরু করেন । প্রথমে খাতা পেনে ও পরে কার্ড বোর্ডের উপর ’মান্ডালা আর্ট’ ফুটিয়ে তোলার প্রচেষ্টা শুরু করেন ।পরে অ্যাক্রিলিক রঙ ও তুলির সাহায্যে সেই আর্ট ফুটিয়ে তোলা শুরু করেন ।এইভাবে ধীরে ধীরে ’মান্ডালা আর্টে’ নিজেকে পারদর্শী করে তোলেন ।প্রথমে ’মান্ডালা আর্ট’ রপ্ত করাটা তাঁর কাছে ছিল প্যাশন । এখন সেটাই তাঁর প্রফেশন হয়ে গিয়েছে বলে নিশা জানিয়েছেন।
নিশা জানান ,মান্ডেলা আর্টে বিশেষ কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরুপ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে তাঁর নাম নথিভুক্ত হয়েছে । ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের মানপত্র ও মেডেল চলতি আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহেই তিনি পেয়েছেন ।নিজের এই অঙ্কন শৈলীকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে আর্ন্তজাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন নিশা ।।