এইদিন ওয়েবডেস্ক,আঙ্কারা,২৩ মে : গত ১৪ মে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডের ভোটে কেউই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি । তুরস্কের আইন অনুযায়ী বিজয়ী হতে গেলে নুন্যতম ৫০ শতাংশ ভোট পেতেই হবে । সেখানে বর্তমান রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের ভোট ছিল ৪৯.৫২ শতাংশ, ছয় দলীয় বিরোধী জোটের প্রার্থী উদারপন্থী দলের নেতা কামাল কিলিকদারোগ্লু ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, নির্দল প্রার্থীদের নেতা সিনান ওগান পেয়েছেন ৫,১৭ শতাংশ মানুষের সমর্থন । এই পরিস্থিতিতে কিছু বিশ্লেষক সিনান ওগানকে ‘রান অফ’ নির্বাচনে একজন সম্ভাব্য ‘কিংমেকার’ বলে অভিহিত করেছেন । এবার সেই ‘কিংমেকার’ ওগান রান অফে এরদোগানকে সমর্থনের ঘোষণা করলেন । ফলে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে এরদোগানের জয় এক প্রকার নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে ।
সোমবার ওগান রাজধানী আঙ্কারায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এরদোগানকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন । নিজেকে ‘জাতীয়তাবাদীদের মূল খেলোয়াড়’ হিসাবে দাবি করে ওগান বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সিদ্ধান্ত আমাদের দেশ ও জাতির জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত হবে ।’ তিনি আরও বলেন,’এটা গুরুত্বপূর্ণ যে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সংসদের মতোই নেতৃত্বের অধীনে থাকবেন । অন্যদিকে কিলিকদারোগ্লুর জোট ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা পিপলস অ্যালায়েন্স পর্যাপ্ত সাফল্য প্রদর্শন করতে পারেনি এবং ভবিষ্যতের বিষয়ে আমাদের বিশ্বাস জাগানোর মত এমন কোনো দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি ।’ এরদোগানকে সমর্থন করার সিদ্ধান্তটি ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রামের’ নীতির ভিত্তিতে বলে তিনি জানান ।
এরদোগান বা প্রধান বিরোধী নেতা কামাল কিলিকদারোগ্লু আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেশটির নেতৃত্ব দেবেন কিনা তা সিদ্ধান্ত নিতে রবিবার তুর্কিরা নির্বাচনে ফিরে যাওয়ার সময় সিনান ওগানের এই ঘোষণা সামনে আসে । শুক্রবার ইস্তাম্বুলে তুর্কির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এরদোগানকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন ওগান । তবে বিশ্লেষকরা বলেছেন যে এটা নিশ্চিত নয় যে ওগানের অধিকাংশ সমর্থক এরদোগানের দিকে যাবেন, কেউ কেউ কিলিকদারোগ্লুর দিকেও ঝুঁকতে পারে বলে তারা মনে করছেন ।।