প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৮ মার্চ : উন্নয়ন কাজ নিয়ে অব্যাহতই রয়েছে শাসক ও বিরোধীদের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব।শনিবার বর্ধমান স্টেশনে এস্কালেটের ও ভিডিও ওয়ালের উদ্বোধন কর্মসূচিওতেও দেখা গেল সেই রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ছোঁয়া।বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার কর্মসূচিতে বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়করা কেউই যোগ দিলেন না । তাই শুধু বিজেপি সাংসদ ও পূর্ব রেলের ডি আর এম মণীষ জৈনের উপস্থিতিতেই এদিন বর্ধমান স্টেশনের ৮ নম্বর প্লাটফর্মের চলমান সিঁড়ির উদ্বোধন হল। একই সঙ্গে এদিন থেকেই বর্ধমান স্টেশনে চালু হয়ে গেল ছয়টি ভিডিও ওয়াল।উদ্বোধন চলাকালীন জয়ধ্বনিও ওঠে মোদীজি ও সাংসদ আলুওয়ালিয়ার নামে।
রেলদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে বর্ধমান স্টেশনে হওয়া এদিনের কর্মসূচীতে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস ও উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক আমন্ত্রিত ছিলেন।বোর্ড এবং আমন্ত্রণপত্রে তাদের নামও ছিল।বিজেপি সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া এবিষয়ে বলেন,’আমরা কর্তব্য করেছি । সৌজন্য দেখিয়েছি । ওঁরা এলে ভাল লাগত। আমি ওদের সঙ্গে কথা বলব । উদ্বোধন চলাকালীন মোদীজি ও স্বয়ং সাংসদের নামে জয়ধ্বনি ওটা নিয়ে অবশ্য রক্ষণাত্মক মত প্রকাশ করলেন। সাংসদ আলুওয়ালিয়া । তিনি বলেন,ওখানে অনেক লোক ছিল । কেউ আমাকে কাল পতাকা দেখাতেও পারত। মোদীজি তো দেশের প্রধানমন্ত্রী । রেলের পুরনো ওভারব্রিজ ভেঙে দেওয়াতে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের যে অসুবিধা হচ্ছে তা নিয়ে রেলকে বলবেন বলেও সাংসদ আহলুওয়ালিজি জানিয়েছেন ।
বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক বলেন,রেলের পক্ষ থেকে তাকে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচী নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য আমি রেলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেনি । আর বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস আবার উল্টো কথাই শুনিয়েছেন। তিনি বলেন,আমি কোন আমন্ত্রণ কার্ড পায় নি।আমি যখন “বর্ধমান পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ‘দিদির সুরক্ষা কবচের’ অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম তখন শুনলাম রেলের অনুষ্ঠান হচ্ছে। সাংসদ বক্তব্য রাখছেন ।।