এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,০৯ জানুয়ারী : নির্বাচনী প্রচারের সময় বাংলাদেশের জনৈক ইমাম দাবি করেছিলেন যে অসংখ্য জ্বীনকে ভোটের ময়দানে তিনি নামিয়ে দিয়েছেন । তাই ভোটে কারচুপি করতে গেলে জ্বীনেদের রোষের মুখে পড়তে হবে বলেও তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন । কিন্তু এভাবে ধর্মীয় কুসংস্কার ছড়িয়েও কাজ হাসিল করতে পারলেন না তিনি । শোচনীয়ভাবে পরাজিত হতে হল বাংলাদেশের মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের প্রার্থী মাওলানা আসলাম হোসাইন রহমানী নামে ওই ইমামকে । ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী ৭২ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম নির্দল প্রার্থী শফি আহমদ সালমান পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৫২ ভোট। অন্যদিকে জ্বিন লেলিয়ে দেওয়া মাওলানা আসলাম হোসাইন রহমানীর কপালে জুটেছে মাত্র ৩৬৬ ভোট।
রবিবার বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে । নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করতে চলেছে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ । নির্বাচনের আগের দিন গত শনিবার হোসাইন রহমানী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার নির্বাচনী এজেন্ট কম,তাই আমাকে জ্বীনের ডাকতে হয়েছে । এজেন্টদের পাশাপাশি জ্বীনেরাও আমার হয়ে মাঠে নামবে । তাই কেউ ভোটে কারচুপি করবেন না । কারন কারচুপি করলেই জ্বীনেদের রোষের মুখে পড়তে হতে পারে ।’
হোসাইন রহমান আরো বলেন, আপনারা যারা তাসকিয়া বিশ্বাস করেন তারা জানেন যে ফুলতলী হুজুরের অনেক জিন মুরিদ ছিল। আমাদেরও তাদের মত না হলেও, কিছু জিনের সঙ্গে দেখা হয়, আলোচনা হয় । আমি তাদের বলে দিয়েছি যে ভোটে কারচুপি রুখতে তারা যেন কড়া নজরদারি চালায় ।’ উল্লেখ্য,মূলত পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন মিলে ৩৬৬ ভোট পেয়েছেন হোসাইন রহমান । জ্বীনের কথা বলে ভয় দেখানো বা ধর্মীয় সুড়সুড়িতে মানুষ যে বিশেষ প্রভাবিত হয়নি তা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরেই স্পষ্ট হয়ে গেল ।।