প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৫ মে : ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা এখনও চলছে বলে অভিযোগ তুলে প্রতি মুহুর্তে গলা ফাটাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব।কিন্তু সেই সবে কান না দিয়ে আতঙ্কে ঘর ছাড়া হয়ে থাকা বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরানোর কাজ অব্যাহত রাখলো শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।শনিবার জেলার জামালপুর বিধানসভার তৃণমূল নেতৃত্ব নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে ঘরে ফেরালেন ৪ শতাধীক বিজেপি কর্মীকে ।একই সাথে তৃণমূলের নেতারাই ঘরে ফেরা বিজেপি কর্মীদের দোকান খোলানোর ব্যবস্থাও করলেন ।জামালপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব এমন মহানুভবতা দেখানোয় আপাতত স্বস্তিতে বিজেপি কর্মীরা ।
ভোটের ফল ঘোষণার পরেই পরেই আতঙ্কে ঘর ছেড়েছিলেন জামালপুর বিধানসভা এলাকার বেশ কিছু বিজেপি কর্মী।ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেহেমুদ খাঁন ও যুব সভাপতি ভূতনাথ মালিকের কথায় আশ্বস্ত হয়ে এদিন দুপুরে প্রায় ৪ শতাধীক বিজেপি কর্মী জামালপুরের পুলমাথায় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে এসে হাজির হন । তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাই তারপর দায়িত্ব নিয়ে তাঁদের ঘরে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন ।
কয়েকদিন আগে জেলার হাটুদেওয়ান, রায়ান
ও কালনা বিধানসভার তৃণমূল নেতৃত্বও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তাঁদের দোকান খোলানোর ব্যবস্থা করেন।
এদিন ঘরে ফেরা জামালপুরের বিজেপি নেতা সমীর বাগ ,শ্রীবাস পরামাণ্য ,সুজিত হালদার ও গোপাল দত্ত বলেন, “ভোটের ফল বের হওয়ার পর তাঁরাই আতঙ্কে ঘরছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন ।কারণ তাঁদের মনে হয়েছিল বিজেপি করার জন্যে তাঁদের উপরে হামলা হতে পারে । সেই ভয়েই তাঁরা প্রায় ৪ শতাধীক বিজেপি নেতা ও কর্মী ঘর ছেড়ে ছিলেন । কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি । তৃণমূল নেতা মেহেমুদ খাঁন ও ভূতনাথ মালিকের কথায় আশ্বস্ত হয়ে এদিন নির্ভয়ে তারা সবাই বাড়ি ফিরে এসেছেন। সমির বাগ বলেন , আগামী দিনে আর বিজেপি পার্টি করবেন কিনা সেই বিষয়টি এখন তাঁদের কাছে ভাবনাচিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে“ ।
জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি
নেহেমুদ খাঁন বলেন,“তৃণমূল কংগ্রেস হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না । তাই তৃণমূল নেত্রীী পরিস্কার নির্দেশ দিয়েছেন কোন রকম অশান্তি বা হিংসা বরদাস্ত করা হবে না।এদিন বিজেপির যে কর্মীদের বাড়ি ফেরানো হল তাঁরা নিজেরাই ভোটের ফল প্রকাশের পর ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আমারাই তাদের এদিন বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছি“ । অন্যদিকে ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি ভূতনাথ মালিক দাবি করেন ,তৃণমূল যে রাজ্যে অশান্তি চায় না এই ঘটনা তারই প্রমাণ। এত কিছুর পরেও রাজ্য বিজেপি নেতারা উস্কানিনূলক বক্তব্য রেখে রাজ্য অশান্ত করতে চাইছেন । ওনারা উস্কানি মূলক বক্তব রাখা যত তাড়াতাড়ি বন্ধ করেন ততই রাজ্যের মঙ্গল হবে ।’।