এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১৯ আগস্ট : দিল্লিতে দুদিনের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল সম্মেলন (National Security Strategies Conference)-এর আয়োজন করা হয়েছিল । ওই সম্মেলনে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির পুলিশের মহাপরিচালকদের(ডিজিপি) সঙ্গে মিলিত হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । সম্মেলনের কিছু ছবি টুইটারে শেয়ার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন,’দুই দিনব্যাপী জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল সম্মেলন আজ শেষ হয়েছে। মাদক পাচার, সীমান্ত এলাকায় জনসংখ্যার পরিবর্তন এবং সাইবার জালিয়াতির মতো চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সমস্ত রাজ্যের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যে জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলি আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত ।’
জানা গেছে,সীমান্ত এলাকায় ক্রমাগত জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের বিষয়ে কড়া নজর রাখার জন্য ডিজিপিদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী । বিশেষ করে তিনি পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের পুলিশের ডিজিপিদের নির্দেশ দিয়েছেন সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর সব প্রযুক্তিগত ও কৌশলগত তথ্য সংগ্রহ করতে। এছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা এবং উত্তর-পূর্বে জঙ্গিদের প্রভাব দূর করাকে তাঁর সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসাবে গণ্য করেছেন অমিত শাহ । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সমস্ত রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়া উচিত। সীমান্তে অবস্থিত জেলার তথ্য একে অপরের সাথে শেয়ার করার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি ।
সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে অমিত শাহ জাতীয় নিরাপত্তার উপর জোর দিয়ে বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যৎ এবং যুবকদের জন্য লড়াইই প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত । ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিজিপি সম্মেলনের রূপরেখা পরিবর্তন করেছেন । তারপর থেকে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে ।
উল্লেখ্য,পাকিস্থান,বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্তবর্তী ভারতের রাজ্যগুলিতে হঠাৎ করে জনসংখ্যার ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে । একটি রিপোর্টে জানা গেছে,২০১১ সালের পর থেকে উত্তরপ্রদেশ, আসাম, রাজস্থান,পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে হু হু করে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে । বেড়েছে মাদ্রাসা ও মসজিদের সংখ্যাও । এবার সীমান্ত এলাকায় ক্রমাগত জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার ।।