এইদিন ওয়েবডেস্ক,সুইজারল্যান্ড,১৩ সেপ্টেম্বর :
প্রাক্তন মিস সুইজারল্যান্ডের ফাইনালিস্ট ক্রিস্টিনা জোকসিমোভিচকে তার স্বামী তাদের বাড়িতে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলেন। অভিযুক্ত স্বামীর নাম থমাস । সে তার স্ত্রী ক্রিস্টিনাকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে । এরপর পরা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সে তার স্ত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করে এবং তারপর দেহাংশ মিক্সারে পিষে অ্যাসিডে গলিয়ে দেয় । কিন্তু পুলিশের হাত থেকে পালাতে পারেননি ঘাতক স্বামী । অবশেষে সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে, যেখানে সে তার অপরাধ স্বীকার করে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে যা বলেছে তাতেও পুলিশ হতবাক। থমাস বলেছে যে সে আত্মরক্ষায় তার স্ত্রীকে হত্যা করেছিল এবং তিনি তার মৃত্যুর ভয় পেয়েছিলেন, তাই তিনি তার দেহ টুকরো টুকরো করে দিয়েছেন।
গত ফেব্রুয়ারীতে ক্রিস্টিনা জোকসিমোভিচের বিকৃত লাশ পাওয়া গেলে এই জঘন্য অপরাধটি প্রকাশ্যে আসে। অফিসাররা একটি তদন্ত শুরু করে এবং শীঘ্রই উপসংহারে আসেন যে তাকে টুকরো টুকরো করার আগে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। এই অপরাধে টমাসকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। থমাস আদালতে জামিন চেয়েছিলেন, যা ফেডারেল আদালত প্রত্যাখ্যান করেছিল।
সুইস মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, থমাস করাত, ছুরি এবং বাগানের কাঁচি ব্যবহার করে তার স্ত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেছিলেন। পরে, তিনি এটি দ্রবীভূত করার জন্য একটি রাসায়নিক দ্রবণে অবশিষ্টাংশগুলিকে ডুবিয়ে দেন। এমনকি অফিসাররাও তার অপরাধের বর্বরতায় চমকে যান ।
টমাস দাবি করেছেন যে তিনি আত্মরক্ষায় তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে ক্রিস্টিনা তাকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করেছিলেন। তবে মেডিকেল রিপোর্ট তার বক্তব্যের বিপরীত। প্রাক্তন মিস সুইজারল্যান্ডের ফাইনালিস্টের বন্ধুরা বলেছেন যে স্বামী এবং দুই মেয়েকে নিয়ে তাদের সুখের সুংসার ছিল । কিন্তু এই প্রকার নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের কারন নিয়ে তারও ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন ।।