প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৪ জুন : বহুকাল পূর্বে ছায়াছবির একটি দৃশ্যে নিহত গোলাপের মৃত্যুর বিচার চেয়েছিলেন মহানায়ক উত্তমকুমার।এবার বাস্তবে প্রকাণ্ড একটি শিরিষ গাছের মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বর্ধমান শহরের একটি নামি স্কুলের প্রধান শিক্ষক । যা নিয়ে বর্ধমান শহরবাসী মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ।গাছ প্রেমিরাও চাইছেন পুলিশ প্রশাসন শিরিষ গাছটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করুক ।
বর্ধমান শহরের পুরনো বড় স্কুল গুলির অন্যতম ’মিউনিসিপ্যাল স্কুল’ । এই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের কাছেই ছিল বহু পুরনো প্রকাণ্ড শিরিষ গাছটি ।সম্প্রতি বিদ্যালয়ের শিক্ষক অন্যান্যরা দেখেন গাছটি মরে গেছে।বিদ্যালয়েয় প্রাথমিক বিভাগের প্রধানশিক্ষক বিশ্বজিৎ পাল, বৃহস্পতিবার দাবি করেন হঠাৎ করে তরতাজা শিরিষ গাছটি মরে যাওয়াটা তাঁদের কাছে রহস্যজনক বলে মনে হয়েছে। এমন রহস্যজনক ভাবে গাছ মারে যাওয়ার বিষয়ে আগেও তিনি শুনেছেন। বিশ্বজিৎবাবু জানান,“গাছের প্রাণ আছে । আর গাছ অন্য জীবেরও প্রাণ বাঁচায়। তাই তিনি চান তাঁদের বিদ্যালয়ের শিরিষ গাছটির মৃত্যু স্বাভাবিক,
নাকি মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তার তদন্ত হোক। সেই জন্যই তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন । মিউনিসিপ্যাল স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ পালের দাবিকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘গাছ মাষ্টার ‘ তথা ’গাছ বিশেষজ্ঞ’ অরূপ চৌধুরী। অরুপবাবু জানিয়েছেন; “অনেক সময়ই সরকারি জায়গায় থাকা কিছু বড় গাছ হঠাৎই মারা যায়।দেখাগেছে ওইসব গাছগুলি হয়তো কারো অসুবিধার কারণ হচ্ছিল।অরুপবাবু বলেন,শিরিষ গাছটির মৃত্যুর ঘটনার পিছনে তেমনই কোন কারণ রয়েছে কিনা তার তদন্ত হওয়ার দবি তিনিও তুলেছেন ।কারণ শিরিষ গাছটিকে কেউ যদি ‘খুন ‘ করে থাকে তবে তার বিচার হওয়াও জরুরী বলে তিনি মনে করেন