এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুর্শিদাবাদ,১৩ জুলাই : আমবাগানের গাছ থেকে তার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে বছর ত্রিশের এক যুবকের দেহ । যুবকের গায়ের লাল স্যান্ডো গেঞ্জির বুকের দুপাশে সেপ্টিপিন দিয়ে লাগানো তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দুই প্রেমিকের সঙ্গে দুটি পৃথক ছবি । মঙ্গলবার সকালে এই দৃশ্য দেখার পর মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা থানার অন্তর্গত হাবাসপুর খাস মহল এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা যুবকের স্ত্রীর উপর চড়াও হয় । গ্রামবাসীরা অভিযোগ তোলেন যুবকের স্ত্রীর একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে । আর তার জেরেই আত্মঘাতী হয়েছে সে । যদিও সেলিম শেখ নামে ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয় বরঞ্চ তাঁকে খুন করা হয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।
স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে,বেশ কয়েক বছর আগে একই এলাকার বাসিন্দা দিলরুবা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল হাবাসপুর খাস মহল এলাকার বাসিন্দা সেলিম শেখের । আশরাফুল শেখ নামে বছর নয়ের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে তাঁদের । পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীদের দাবি, দিলরুবা খাতুনের একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে । বর্তমানে রাজেশ শেখ এবং জাকির শেখ নামে দু’জনের সম্পর্ক অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল দিলরুবা । সেলিম বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেই তারা ঢুকতো । কিন্তু সম্প্রতি বিষয়টি টের পেয়ে গিয়েছিলেন সেলিম । এনিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত ।
জানা গেছে,এদিন বাড়ির অদূরে একটি আমবাগানের একটি গাছ থেকে সেলিম সেলিম শেখকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় গ্রামবাসীরা । তার পড়নের গেঞ্জির ডানদিকে সেপ্টিপিন দিয়ে লাগানো ছিল রাজেশ ও দিলরুবা খাতুনের কালার প্রিন্টেড ছবি । ছবির নিচে একটি মোবাইল নম্বর । একইভাবে বুকের বামদিকে লাগানো ছিল যুবকের স্ত্রীর সঙ্গে জাকিরের ছবি ও একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া ছবি । জানা গেছে,মর্মান্তিক এই দৃশ্য দেখে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মৃতের স্ত্রীকে ঘিরে ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় । স্ত্রীর একের পর এক অবৈধ সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরেই সেলিম আত্মঘাতী হয়েছে বলে তারা অভিযোগ তোলেন । শেষে খবর পেয়ে পুলিশ এসে ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে দিলরুবা খাতুনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ।।