এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),২৮ জুন : পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা শহরের ঋণদানকারী একটি সংস্থার এক কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । মৃতের নাম অঙ্কুশ শীল(২৩) । তার বাড়ি নদিয়া জেলার মুরুটিয়া থানার কেচুয়াডাঙ্গা গ্রামে । খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা আজ শনিবার সকালে সংস্থার অফিসে এসে সংস্থার শাখা ম্যানেজার ও দুই কর্মীকে আটকে মারধর শুরু করেন । যুবকের মৃত্যুর কারন নিয়ে তারা সন্দেহ প্রকাশ করেন । মৃতের কাননবালা দেবী বলেন, ‘আমাদের ফোন করে বলা হয়েছিল ছেলে গলায় দড়ি দিয়েছে । হাসপাতালে স্যালাইন চলছে । কিন্তু এসে দেখি ছেলে মারা গেছে।’ তিনি বলেন,আমার ছেলে আত্মহত্যা কেন করতে যাবে? নিশ্চয় এর মধ্যে কোনও ষড়যন্ত্র আছে ।’ যদিও যদিও কর্মীদের একাংশের দাবি, রোজই টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয় । ফলে কাজের খুব চাপ থাকে । আর সেই চাপের কারণেই অঙ্কুশ আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করছেন তারা । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
জানা গেছে, কেচুয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুনীল শীল ও কাননবালাদেবীর একমাত্র পুত্র অঙ্কুশ।গুসকরার সংহতিপল্লী এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে ওই ঋণদানকারী সংস্থার শাখা অফিসে বছর দুয়েক আগে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি ।
সংস্থার কর্মীরা জানিয়েছেন,ভবনের নিচেরতলায় অফিস এবং তিনতলায় তিন কর্মীর থাকার ঘর ।শুক্রবার সন্ধ্যায় বাকি দু’জন বাজারে গেলেও অঙ্কুশ যেতে চাননি । রাত নটা নাগাদ ফিরে আসার পর দুজন সহকর্মী দেখেন ঘর ভিতর থেকে বন্ধ । ঘরের আলোও নেভানো রয়েছে ৷ পরে তারা জানালা দিয়ে টর্চের আলো ফেলতেই অঙ্কুশকে ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান । এরপর তারা ঘরের দরজা ভেঙে অঙ্কুশকে উদ্ধার করে গুসকরা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশেরও অনুমান যে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন ।।