এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০৭ আগস্ট : বাংলাদেশ থেকে একটা আজব ঘটনা সামনে এসেছে । নিকাহ অনুষ্ঠানে খাওয়াদাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ না করার আক্রোশে বিবাহ অনুষ্ঠানে দল বেঁধে এসে হামলা চালিয়েছে বরের জামাইবাবু । হামলায় বর-কনেসহ দু’পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে । বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ঘটনা । হামলার জেরে নিকাহ অনুষ্ঠান লাটে ওঠে ৷ এলোপাথাড়ি কিল- চড়-ঘুঁষির পাশাপাশি লাঠিসোঁটা হাতে দু’পক্ষের ধাওয়া ও পালটা ধাওয়ায় কার্যত রণক্ষেত্রে পরিনত হয় অনুষ্ঠান চত্বর । সেই সময় লুট করা হয় বিরিয়ানির হাঁড়িগুলি সহ যাবতীয় মিষ্টান্ন সামগ্রী ।
জানা যায়, বুধবার বিকেলে চেচুরিয়ার কেবি কনভেনশন সেন্টারে পূর্ব বৈলছড়ি নতুন পাড়া এলাকার জাফর আহমদের ছেলে জসিম উদ্দিনের সঙ্গে চেচুরিয়া ভোলারঘাটা এলাকার মনছপ আলির মেয়ে রহিমা আক্তারের নিকাহের অনুষ্ঠান ছিল । কিন্তু অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় বরের নিজের দিদি খালেদা বেগমের স্বামী রশিদ আহমেদের নেতৃত্বে একটা দল বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে দেয় । বিয়ের অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বরযাত্রীদের ওপর এই হামলা করা হয় বলে জানা গেছে । ।এসময় বরের শেরওয়ানি এবং নববধূর সোনার যাবতীয় গহনা শরীর থেকে খুলে নেয় খালেদা বেগম ও তার স্বামী রশিদ আহমেদ । পাশাপাশি চলে এলোপাথাড়ি কিল-চড়-ঘুঁষি । পালটা বরপক্ষ লাঠিসোঁটা হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে । এতে বর জসিম উদ্দীন, বাবা জাফর আহমদ, ভাই জমির উদ্দীন, বোন গোলতাজ বেগম, নাছিমা আক্তার ও ভভগ্নিপতি ফজল কাদেরসহ অন্তত ১০ জন আহত হয় । তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় । এদিকে
জানা গেছে,খালেদা বেগম টাকা ও নিজের সোনার গহনা বন্ধক দিয়ে ভাই জসিম উদ্দীনকে বিদেশ পাঠিয়েছিল । বর্তমানে সে প্রতিষ্ঠিত । যদি সেই অর্থ পরিশোধ করতে হয়, এই ভয়ে জসিম উদ্দীন তার দিদিকে এড়িয়ে যাচ্ছিল । তারপরে বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ না করায় চরম ক্ষিপ্ত হন দিদি খালেদা বেগম । তিনি এটা ভাইয়ের বিশ্বাসঘাতকতা হিসাবে দেখেন । এরপর খালেদা বেগমের পরামর্শে নিকাহ অনুষ্ঠানে দলবেঁধে হামলা চালিয়ে দেন তার স্বামী রশিদ আহমেদ । সংঘর্ষের মাঝেই রশিদ আহমেদের সাথে আসা লোকজন বিরিয়ানির হাঁড়িগুলি ও যাবতীয় মিষ্টান্ন একটা গাড়িতে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায় ।
বাঁশখালী থানার ওসি মহম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ভাই-বোনের টাকা পয়সা দেনা-পাওনা নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি । তবে সেটা ক্লাবে না রাস্তায় ঘটেছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে । যদিও ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি । কিন্তু যদি রাস্তায় মারামারির ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে পুলিশ স্বতপ্রণোদিত ভাবে মামলা রজু করবে ।’।