এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৭ নভেম্বর : রাজভবন থেকে বিজেপিকে বোমা বন্দুক সরবরাহ করা হয় বলে মন্তব্য করেছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি । গতকাল তার সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুর থেকেই রাজভবনে বম্ব স্কোয়াড, পুলিশ, কুকুর নিয়ে তল্লাশি অভিযান । আর সেই তল্লাশি চলল স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশেই । যথারীতি “বোমা বন্দুক” কিছুই পাওয়া যায়নি । এরপর রাজ্যপাল সাফ জানিয়ে দেন যে তিনি তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন ।
প্রসঙ্গত,আলটপকা মন্তব্য করে বাজার গরম করা পুরনো অভ্যাস । সম্প্রতি নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র শ্রীরামপুরে সভা করার “সাহস দেখানোর” জন্য রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন কল্যান । যদিও ঠিক তার পরের দিনই শ্রীরামপুর শহরের বুকে পথসভা করেন সুকান্ত । এছাড়া শুভেন্দুর বাপবাপান্তও করতে শোনা যায় কল্যাণকে । যদিও শুভেন্দু তাকে “মাতাল” ও মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জির “চাকর” আখ্যা দিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করেন।
বিহারে ভোটের ফলপ্রকাশের পর শনিবার রাজ্যপাল এসআইআরকে কার্যকর ও সময়োপযোগী বলে ব্যাখ্যা করে দাবি বলেছিলেন, বিহারের মতো বাংলাতেও এই নতুন পদ্ধতি ভোটদাতারা সাদরে গ্রহণ করবেন। এর জবাব দিতে গিয়েই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজভবনে বিজেপির অপরাধীরা আশ্রয় পাচ্ছে। তাদের হাতে বন্দুক-বোমা তুলে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলকর্মীদের আক্রমণের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। আগে এগুলো বন্ধ করুন। তিনি অপদার্থ রাজ্যপাল, বিজেপির চাকরবাকর!’
কল্যাণের এই মন্তব্যের পর পদক্ষেপ করেন রাজ্যপাল। রাজভবনের দরজা খুলে দিয়ে ১০০ জনকে সেখানে প্রবেশাধিকার দেন। আজ সোমবার রাজভবনে ফিরেই রাজভবনের অন্দর ও প্রাঙ্গণ তল্লাশির সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল বোস। বম্ব স্কোয়াড, পুলিশ কুকুরের পাশাপাশি সিআরপিএফ ও কলকাতা পুলিশও আসে। যদিও দীর্ঘ ক্ষণ তল্লাশির পর কিছু সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়নি বলে জানান রাজ্যপাল৷ সেই সাথে কল্যাণকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভুয়ো অভিযোগ করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে । তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন,”রাজনৈতিক আলোচনায় রাজ্যপাল এবং রাজভবনকে টেনে আনার ভুল প্রবণতা রোধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”।

