এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখিমপুর,১১ জানুয়ারী : ব্যাপক আকারে জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান চালালো আসাম সরকার । মঙ্গলবার সকাল থেকে আসাম বন প্রশাসন আসামের লখিমপুর জেলায় ৪৫০ হেক্টর বনভূমিতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে । ওই এলাকায় ৭০১ টি পরিবার গত তিন দশক ধরে পাভো রিজার্ভ ফরেস্ট (Pavo reserve forest) এলাকার একাংশ দখল করে বসবাস করছিল । সরকারী সূত্রের খবর, মোঝুলি গ্রামের ২০০ হেক্টর জমিতে ৩৯৯ টি পরিবার ছিল । মঙ্গলবার তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে ।
আধাসোনা গ্রামের অবশিষ্ট ৩০২ হেক্টর জমিতে প্রায় ২০০ পরিবারকে আজ বুধবার উচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে । উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিনটি প্রশাসনের জন্য অনেক সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে কারণ বেশিরভাগ পরিবার তাদের জিনিসপত্র নিয়ে আগেই জায়গা খালি করে দিয়েছে ।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অশোক কুমার দেব চৌধুরী জানান, পাভো সংরক্ষিত বনাঞ্চল গত তিন দশক ধরে ৭০১টি পরিবার জবরদখল করে আছে । অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষদের পাশাপাশি নওবইচা নির্বাচনী এলাকার বাংলাভাষী মুসলমানরাও অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন,২০২২ সালের জুলাই মাসে ৮৪ টি পরিবার জমির মালিকানা দাবি করে নথি জমা দিয়েছিল । কিন্তু দলিলগুলি পরীক্ষা করে জানা যায় সেগুলি জাল । কেউ কীভাবে সংরক্ষিত বনের মধ্যে জমির দলিল পেতে পারে ?’ জবরদখলকারীরা দাবি করেছেন, তাঁরা জমি মাফিয়াদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন ।
লখিমপুরের জেলা প্রশাসক সুমিত সত্তাওয়ান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,’দুই বছর আগে বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দখলকৃত এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে এলাকা খালি করার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। গত ৭ সেপ্টেম্বর নওবাইশার সার্কেল অফিসার নিজেই দখলদারদের সঙ্গে দেখা করে জায়গা খালি করতে বলেন।’
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন যে জায়গাটি একসময় এশিয়াটিক জল মহিষ, হাতি, চিতাবাঘ এবং প্রচুর পাখির আবাসস্থল ছিল । পরে দখলদাররা এটিকে কৃষিজমি বানিয়েছে যা কখনই গ্রহণযোগ্য নয় । উচ্ছেদের পর এটিকে পাভো বনাঞ্চলের অংশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।।