এইদিন ওয়েবডেস্ক,আমেঠি,১৬ মার্চ : স্কুলের টিউবওয়েলে জল আনতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার হতে হল এক তরুনীকে ৷ শুধু তাইই নয়,ধর্ষণের কথা জানাজানি করলে তরুনী ও তার পরিবারকে ধর্ষক শিক্ষক খুনের হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ । ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আমেঠি জেলার মোহনগঞ্জ থানা এলাকার ৷ ধর্ষক শিক্ষকের নাম আনিস আহমেদ । সে মোহনগঞ্জ থানার অন্তর্গত কোচি গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক । যদিও ঘটনার পর নির্যাতিতা বাড়ি ফিরে এসে পরিবারের লোকজনের কাছে ঘটনার কথা সব খুলে বলে । এরপর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মোহনগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা তরুনী । পুলিশ অভিযুক্ত আনিসের বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৭৬ এবং ৫০৬ ধারার অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে । এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকেই চম্পট দিয়েছে আনিস । পুলিশ তাকে খুঁজছে । পাশাপাশি এই ঘৃণ্য কাজের জন্য আনিসকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ ।
মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে,নির্যাতিতা স্কুলের পাশের একটি গ্রামে থাকেন । ঘটনাটি গত সোমবারের (১৩ মার্চ ২০২৩) । ওইদিন গ্রামের কলে ভিড় থাকায় বিকেল ৪ টে নাগাদ স্কুলের টিউবওয়েলে জল আনতে গিয়েছিলেন তরুনী । সেই সময় স্কুলে একাই ছিল আনিস আহমেদ । সে নিজের অফিসের দরজা বন্ধ করে ভিতরে বসে জানালা দিয়ে বাইরে নজর রাখছিল ।
পুলিশের কাছে অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছে, তার এক বালতি জল ভরা হয়ে গেলে বাড়ি ফিরে সে আসছিল । তখন জল এনে দেওয়ার অছিলায় আনিস তাকে অফিসে ডাকে । মেয়েটি কেবিনে জল নিয়ে গেলে আনিস প্রথমে তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে তারপর তাকে ধাক্কা দিয়ে বেঞ্চে ফেলে দেয় । মেয়েটি চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে আনিস । ঘটনার কথা প্রকাশ করলে নির্যাতিতাকে হত্যার হুমকিও দেয় সে । পুলিশ নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে । ধর্ষক শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার ।।