এইদিন ওয়েবডেস্ক,মান্দাসৌর,২৮ জুন : বছর খানেক আগে মুসলিম প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এক হিন্দু তরুনী । খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে তার সন্ধান মিললে পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি ফেরার জন্য অনেক বোঝায় । কিন্তু কিছুতেই তরুনীকে রাজি করানো যায়নি । অবশেষে ক্ষিপ্ত বাবা তরুনীকে কফন ও মালা পরিয়ে তার সাথে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করে । টাইমস নাউ নবভারত এর প্রতিবেদনে জানা গেছে, ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের মান্দাসৌর জেলার নাহাড়গড় থানা এলাকার । তরুনীকে কফন পরানোর ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ।
ভিডিওতে দেখা গেছে, শবুজ রঙের শালোয়ার কামিজ পরে এক তরুনী ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে । তার সামনে কয়েকজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছে । তাদের মধ্যে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়,’এই মেয়ে একটা মুসলমান ছেলের সাথে পালিয়েছে । আমাদের হিন্দু সমাজের বদনাম করেছে । সেই কারনে এই মেয়ে আজ থেকে পরিবার ও হিন্দু সমাজের কাছে মৃত বলে বিবেচনা করা হবে ।’ এরপর ওই ব্যক্তি তরুনীর মাথাকে শরীরের নিচে অব্দি একটা সাদা কফনে ঢেকে দিয়ে একটা মালা পরিয়ে দেয় ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী,নাহাড়গড় থানার কয়ামপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই হিন্দু তরুনী প্রায় এক বছর আগে তার মুসলিম প্রেমিক সাহিলের সাথে পালিয়ে যায় । পরিবারের তরফে থানায় একটা নিখোঁজ ডাইরিও করা হয় । পুলিশ মেয়েটিকে খুঁজে বের করে থানায় ডেকে পাঠায় । মেয়েটি থানায় পৌঁছলে পরিবার তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক চেষ্টা করে । কিন্তু কিছুতে তারা মেয়েটিকে বোঝাতে পারেনি । মেয়েটি তার স্বামী সাহিলের সাথে থাকার দাবিতে অনড় থাকে । তরুনী বলে,’আমি সাহিলকে বিয়ে করেছি । তাই তার সাথেই আমি থাকতে চাই ।’ এরপর মেয়েকে কফন ও মালা পরিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করে তরুনীর ক্ষিপ্ত বাবা । ঘটনাটি গত ২৫ জুনের । সেখানে উপস্থিত পরিবারের কোনো এক ব্যক্তি সেই দৃশ্যের ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেয় ।
এদিকে ভিডিওটি সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ । থানার ভিতরে এই ঘটনা ঘটায় পুলিশ সুপার অনুরাগ নাহাড়গড় থানার এস আই জগদীশ ঠাকুর ছাড়াও মহেন্দ্র,ও ভাবনা নাগরা নামে মোট তিন পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ।।