প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৮ মার্চ : চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ছুটি পেয়ে যাওয়া মাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিযে যেতে এসে আয়ার হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন মেয়ে।আক্রান্তেয় নাম সান্তনা ঘোষ।এমন ঘটনা জানাজানি হতেই মঙ্গলবার ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে।খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের অ্যালিস্ট্যান্ট সুপার সাম্যশীষ রায় গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। সেই মত হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে সনাক্ত করণের কাজ শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বছর ৭৫ বয়সী রুপসী ভক্ত গত ১৫ মার্চ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালো ভর্তি হন।তাঁর বাড়ি নদীয়ার কালিগঞ্জের চড়চোয়াডাঙ্গা এলাকায়। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে রুপসীদেবীর হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে যাওয়ায় কথা ছিল। তাই এদিন সকালে রুপসীদেবীর মেয়ে সান্তনা ঘোষ ও ছেলে নিত্যগোপাল ভক্ত হাজির হন হাসপাতালে।অভিযোগ,ওই সময় সান্তনা ঘোষের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন হাসপাতালের আয়া সুনন্দা চট্টোপাধ্যায়। তাদের বচসা শেষঅব্দি হাতাহাতিতে পৌছে যায়। আয়ার মারে সান্তনা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ নিয়ে সান্তনা ঘোষের দাদা নিত্যগোপাল ভক্ত অভিযোগে জানিয়েছেন,তার বোন সান্তনা ঘোষকে ব্যাপকভাবে মারধর করেছে আয়া সুনন্দা চট্টোপাধ্যায়। এই আয়া শুধু তাঁর বোনকেই নয়,হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা তাঁর মাকেও মারধর করেছে। আয়া সুনন্দার মারে তাঁর বোন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে তিনি হাসপাতালে ইমারজেন্সি বিভাগে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক বোনের চিকিৎসা করার পর শারীরিক অবস্থার কথা বুঝে বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলেন।বোনকে এখন হাসপাতালের মহিলা বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে । এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সম্যশীষ রায় জানান,ঘটনার সবিস্তার খতিয়ে দেখা হবে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আসল অপরাধীকে সনাক্ত করার জন্যেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন ।