এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৯ জুন : কসবা ল’কলেজের গনধর্ষিতা ছাত্রীকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার । তাঁর দাবি নির্যাতিতাকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তিনি তবে পুলিশকে জিজ্ঞাসা করলে নির্যাতিতা কোথায় রয়েছে তা জানানো হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে নির্যাতিতাকে গতকাল পুলিশ সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল তবে তিনি নেননি । তাই নির্যাতিতা এই মুহূর্তে কোথায় রয়েছে পুলিশ তা জানে না বলে দাবি করেছে বলে জানান অর্চনা মজুমদার । তিনি আরও জানান যে ইচ্ছে করে জাতীয় মহিলা কমিশন যাতে তার কাছে পৌঁছাতে না পারি সেই চেষ্টা করেছে পুলিশ। বিষয়টি দিল্লিতে জানানো হবে এবং পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন,’এস এসডি বিদিশা কলিতা তদন্ত করছেন তিনিও নাকি জানেনা নির্যাতিতা কোথায় ।’
আজ রবিবার প্রথমে কসবা থানায় যায় জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা । সেখান থেকে তারা কসবা ল’কলেজে আসেন । কসবা ল’কলেজে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা পৌঁছানোর পর, পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে গেটের সামনে ক্রাইম স্পটের ছবি তোলা ও ভিডিওগ্রাফি করা নিয়ে কথাবার্তা বলতে দেখা যায় অর্চনা মজুমদারকে। কিন্তু পুলিশ ক্রাইম স্পটের ছবি তুলতে দিতে কোনমতেই রাজি হয়নি । শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখার কথা জানায় কমিশন । তাঁরা জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে ঘটনা স্থলে ভিডিওগ্রাফি তারা করতে চান। কিন্তু ছবি তুলতে বা ভিডিওগ্রাফি করতে না পেরে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে আসেন কমিশনের সদস্যরা । এরপর কলেজের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে পুলিশের সঙ্গে চলে বাকবিতন্ডা।
অন্যদিকে পুলিশের কথায়, ঘটনাস্থলে সিল থাকার কারণে সেখানে কোন রকম ছবি তুলতে দেওয়া যাবে না। জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়, নিয়ম মেনেই তাঁরা কাজ করবেন। সিল জায়গায় না ঢুকে ভিতর থেকেই ভিডিয়ায়োগ্রাফি করা হবে । পরে কলেজের সামনে গাড়িতে বসে বিভিন্ন উচ্চপদস্থ আধিকারিককে ফোন করতে দেখা যায় জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদারকে ।।