এইদিন ওয়েবডেস্ক,হুগলি,১৫ ফেব্রুয়ারী : আলুর জমিতে কাজ করার সময় বুনো হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল হুগলি জেলার গোঘাটের বাসিন্দা পেশায় খেতমজুর প্রসেনজিৎ ধাড়ার । গোঘাটের কুমুড়শা গ্রামে বাড়ি তার । মঙ্গলবার বিকেলে নিহতের স্ত্রী ঝর্ণা ধাড়ার হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়ে এলেন বনদপ্তরের আরামবাগের রেঞ্জার আসরাফুল ইসলাম । উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক (আরামবাগ) সুভাষিনী ই,আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল,গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার প্রমুখ ।
জানা গেছে,শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে এসে দিনভর আরামবাগে তান্ডব চালায় দলছুট ওই হাতিটি । এরপর হুলাপার্টি আরামবাগ থেকে হাতিটি গোঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা করে দেয় । সেই সময় হুলাপার্টির পিছনে ছিল প্রশাসনের আধিকারিকরা । আরামবাগ থেকে পালিয়ে এসে বিকেল নাগাদ হাতিটি গোঘাটে ঢোকে । তখন গোঘাটের কুমুড়শা গ্রামের মাঠে আলু জমিতে কাজ করছিলেন প্রসেনজিৎ ধাড়া । তিনি হাতিটির সামনাসামনি পড়ে যান । হাতিটি প্রসেনজিৎকে শুঁড়ে করে তুলে মাটিতে আছাড় দেওয়ার পর পা দিয়ে পিষে দেয় । গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । কিন্তু রবিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার । হাতির হামলায় আরও ৩ জন জখম হয়েছে এবং বেশ কিছু জমির ফসল তছনছ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে । শেষে পূর্ব বর্ধমানের উচালনে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে হাতিটিকে কাবু করে বনদপ্তরের কর্মীরা ।
দেখুন ভিডিও 👇
জানা গেছে, নিহত প্রসেনজিৎ ধাড়ার বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী ঝর্ণাদেনী,বছর ঊনিশের এক মেয়ে এবং ১৬ বছরের এক ছেলে । মূলত প্রসেনজিৎবাবুর উপার্জনেই চার জনের সংসার চলত । কিন্তু তার আকস্মিক মৃত্যুতে চরম বিপাকে পড়েছে পরিবারটি । ঝর্ণাদেবী জানিয়েছেন,তার মেয়ের একটা কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য মহকুমা শাসক ও বনদপ্তরের আধিকারিকের কাছ তিনি আবেদন জানিয়েছেন ।।