এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৭ নভেম্বর : লোকসভা নির্বাচনের আগেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)-এর চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র ‘টেনি’ । ২০২৪ সালের ৩০ মার্চ সিএএ-এর চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হবে বলে তিনি জানান । তিনি আজ সোমবার স্পষ্ট বলেছেন যে সিএএ বাস্তবায়নে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সমস্যা নেই । তিনি বলেন,’আমরা বিলটি ২০১৬ সালে সংসদে রেখেছিলাম এবং এটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে গিয়েছিল। এর রিপোর্ট ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারীতে আসে এবং পরের দিনই এটি লোকসভায় পাস হয় । কিন্তু, রাজ্যসভায় এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় এটি পাস করা যায়নি । ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সাথে, আইনটি বাতিল হয়ে গিয়েছিল কারণ এটি উভয় হাউসে আবার পাস করার প্রয়োজন ছিল । ২০১৯ সালে সরকার গঠনের সাথে, এটি ওই বছর ৯ ডিসেম্বর লোকসভায় স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরের দিনই এটি লোকসভায় পাস হয়েছিল, ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় পাস হয় এবং ১২ তারিখে এটি আইনে পরিণত হয় । ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারী দেশে সিএএ কার্যকর করা হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি আরও বলেছেন, ‘আইন কার্যকর হওয়ার পরে নিয়ম ও প্রবিধান তৈরি হয়। এর পরই আইনটি পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর হবে। এর তৈরির নিয়ম-কানুন দেওয়া হয়েছে । লোকসভার আইন প্রণয়ন কমিটি আগামী বছর ৯ জানুয়ারী তারিখ দিয়েছে এবং রাজ্যসভার আইন প্রণয়ন কমিটি ৩০ মার্চ তারিখ দিয়েছে, ততক্ষণে হয়ে যাবে। সংসদ যখন আইন পাস করে প্রণয়ন করেছে, তখন তা বাস্তবায়ন করতে হবে ।’
প্রসঙ্গত,সিএএ-র বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছিল দেশজুড়ে । দিল্লির শাহীনবাগে মুসলিম মহিলারা দীর্ঘ বিক্ষোভ করেছিলেন । তাদের সঙ্গ দিয়েছিল বামপন্থীরাও । মন্ত্রী বলেন,’কিভাবে বিজেপি- বিরোধী উপাদানগুলি সিএএকে অসাংবিধানিক বলে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল আপনারা দেখেছেন । ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে । আমরা আপনাকে বলি যে এখন পর্যন্ত সিএএ-এর চূড়ান্ত খসড়া সম্পূর্ণ করার সময়সীমা ৮ বার বাড়ানো হয়েছে। এটি সর্বশেষ চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। একইভাবে গত জানুয়ারীতে এটি সপ্তমবার বাড়ানো হয়েছিল ।
প্রসঙ্গত,সিএএ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও হিংসাত্মক বিক্ষোভ হয় । বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনে ভাঙচুর পর্যন্ত হয়েছিল । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে কলকাতায় সিএএ বিরোধী র্যালিও হয়েছিল । কিন্তু সিএর আওতায় পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে এদিন জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র ‘টেনি’ । এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের ফের দেশ জুড়ে কোনো অশান্তি হয় কিনা সেটাই দেখার বিষয় ।।