এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৩ জুলাই : পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের পাঁচুন্দি গ্রামে বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যর ঘটনায় মৃতার শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃতরা হলেন অরুনকুমার ঘোষ এবং মিঠু ঘোষ । মৃতার মা অদিতি চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে কেতুগ্রাম থানার ফুটিসাঁকো এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা ।
মৃতা বধূর নাম ঋত্বিকা চট্টোপাধ্যায় (ঘোষ)। কাটোয়া শহরের স্টেডিয়ামপাড়ায় তার বাপের বাড়ি । বাবা দেবেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সেনা বিভাগে কর্মরত । মা অদিতি চট্টোপাধ্যায় গৃহবধূ । তাদের যমজ মেয়ের মধ্যে ঋত্বিকা কাটোয়া কলেজে পড়াশোনা করতেন । কেতুগ্রামের পাঁচুন্দি গ্রামের বাসিন্দা অরুনকুমার ঘোষের ছেলে অসীমের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ঋত্বিকার । পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে গত ২২ জানুয়ারী তাদের বিয়ে হয় । কিন্তু গত বুধবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে ঋত্বিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ৷ মৃতার শ্বশুরবাড়ির দাবি ঋত্বিকা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ।
কিন্তু মৃতার মা অদিতি চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ যে বাড়ি তৈরির জন্য অতিরিক্ত ৫ লক্ষ টাকা পন দিতে না পারায় তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে । প্রসঙ্গত,মৃতার শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকে কাটোয়া শহরের ন্যাশানাল পাড়ায় একটি বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে । আর সেই বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য ঋত্বিকার শ্বশুর-শাশুড়ি বাপের বাড়ি থেকে ৫ লক্ষ টাকা আনার জন্য বেশ কিছু দিন ধরে চাপ দিচ্ছিলেন এবং দাবিমত টাকা আনতে না পারায় মানসিক নির্যাতন করছিলেন বলে অভিযোগ অদিতিদেবীর ।
যদিও মৃতার স্বামী অসীম বর্তমানে সৌদি আরবে কর্মস্থলে আছেন । ঘটনার দিন রাতে ঋত্বিকার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে মৃত অবস্থায় কেতুগ্রাম হাসপাতালে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ । তখন থেকেই পলাতক ছিলেন মৃতার শ্বশুর ও শাশুড়ি । শেষ পর্যন্ত শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ । আজ শনিবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে ৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় । যদিও আদালতে তোলার সময় ধৃতরা দাবি করেছেন যে তাদের পুত্রবধূ আত্মঘাতী হয়েছে । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ।।