প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,গলসি(পূর্ব বর্ধমান),১৯ মে : বোরো ধান পাকা থেকেই চাষিদের প্রতি বিরুপ আবহাওয়া। দু চারদিন পরপরই একরকম বৃষ্টি হয়ে চলছে। আর তাতেই বড়সড় বিপদে পরেছে গলসি এলাকার চাষিরা। একদিকে শ্রমিকের অভাবে ধান কাটা শুরু করতে না করতেই খামখেয়ালী আবহাওয়া জেরে সকল জমির ধান জলে ডুবেছে। অন্যদিকে বৃষ্টির জন্য পাকা ধানের বেশিরভাগই জমিতে ঝড়ে গেছে। পাশাপাশি ধানের শিষ মাটিতে পোঁতা গেছে। সেই ধান কাটতে এখন দ্বিগুণ খরচ গুনতে হচ্ছে চাষিদের।
হারভেস্টার মেশিনে বিঘা পিছু কমবেশি চল্লিশ মিনিট সময় লাগছে ওই ধান কাটতে বলে জানান স্থানীয় চাষি বাপন মল্লিক। তিনি বলেন ‘এখন বিঘা পিছু ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যেতে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে চাষিদের।’ অপর চাষি পুস্পেন রায়ের কথায় , ‘সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে চোদ্দ পনেরো বিঘা ধান চাষ করেছিলাম । জল ও ঝড়ে বেশির ভাগ জমির ধান নষ্ট হয়েছে। কাটা ধান গতকাল রাতে জল হওয়ায় ডুবে গেছে। এখন থ্রেসার মেশিন দিয়ে মাঠে ঝেড়ে মাঠে নিয়ে আসতে হচ্ছে। তাছাড়া চেন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটতে হচ্ছে। এর ফলে খরচ তিনগুণ হয়ে গেছে। কি করে যে ঋন মেটাবো সেটাই এখন চিন্তা ।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি সহায়তা না পেলে হয়ে না খেতে মরতে হবে চাষিদের ।’
ক্ষতিগ্রস্থ চাষি লব বাগদি বলেন, ‘ভাগে সাড়ে চার বিঘা জমি ধান চাষ করেছিলেন। ফলন ভালো হয়নি। তারপর এক বিঘা নিজেই কেটেছিলাম। বাকি জমি কাটার পর জল হয়ে গেল। এখন সব ধান জলে ডুবে গেছে। কি করে যে ভাগীদারদের ভাগ দেব আর কি করে যে লেবার খরচ যোগাবো বুঝতে পারছি না। এমন অবস্থায় সরকার যদি সাহায্য করতে তাহলে চাষিরা প্রানে বাঁচতো ।’।