এইদিন ওয়েবডেস্ক,কালনা(পূর্ব বর্ধমান),২১ সেপ্টেম্বর : মহালয়ার সকালেই মা ও শিশুকন্যার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনায় । আজ শনিবার সকালে ঘটানাটি ঘটেছে কালনার গুপ্তিপুর এলাকায় । শোবার ঘরের মধ্যে সোহিনী হেমব্রম(৩০) নামে ওই বধূ ও তার ৫ বছরের মেয়ে সোহিনীর গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখে প্রতিবেশীরা । পরে খবর পেয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় । এদিকে বধূ ও তার শিশুকন্যার রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় ঘোঁয়াশায় রয়েছে পরিবার । যদিও প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান মেয়েকে মেরে আত্মঘাতী হয়েছেন বধূ ।
জানা গেছে,কালনা থানার অন্তর্গত সিমলনের গুপ্তিপুর এলাকার বাসিন্দা সোহিনী হেমব্রমের স্বামী মুম্বাইয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন । বাড়িতে রয়েছেন প্রৌঢ় ও প্রৌঢ়া শ্বশুর-শাশুড়ি । শ্বশুর- শাশুড়ি দু’জনেই খেতমজুরের কাজ করেন।এছাড়া এক মূক ননদ রয়েছে তার । মৃতা বধূর শ্বশুর মেঘলাই হেমব্রমের কথায়,’সকালে সবাই মিলে একসঙ্গে চা- বিস্কুট খেয়েছি । বউমা তখন জানায় যে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি যাবে । বাচ্ছাটা রোদে কষ্ট পাবে বলে বউমাকে সকাল সকাল বাপের বাড়ি যেতে বলি । তারপর আমরা দু’জন মাঠে কাজে চলে যাই । কিছুক্ষণ পরে প্রতিবেশীদের কাছে ঘটনার কথা জানতে পারি ।’
জানা গেছে,সকালে সোহিনী হেমব্রম ও তার মেয়েকে মুড়ি খাবার জন্য ডাকতে যান বধূর ননদ । কিন্তু তিনি ঘর ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পান । অনেক কড়া নেড়েও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বধূর ননদ প্রতিবেশীদের ঘটনার কথা জানান । এরপর প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলে বধূ ও তার মেয়ের গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখেন । মৃতার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি দু’জনেই দাবি করেছেন যে পরিবারে কোনো অশান্তি ছিল না । এমনকি আজ তারা মাঠে যাওয়ার আগে তাদের হাতে ঋণের কিস্তি টাকা এবং ইলেকট্রনিক বিলের টাকা দিয়েছিলেন তাদের বউমা । তার আচার আচরণে কোনো অস্বাভাবিক লক্ষ্মণ দেখেননি ৷ কি কারনে বউমা এই কাজ করল তা কিছুই বুঝতে পারছেন না বলে জানান তারা । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।।