এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৩ আগস্ট : সড়কপথে জল জমে থাকতে সদ্যোজাতসহ প্রসূতিকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া হাসপাতালের মাতৃযান চালকের বিরুদ্ধে । যদিও পরে খবর পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে নার্গিস খাতুন নামে ওই প্রসূতিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার বিপ্লব মণ্ডল ।
জানা গেছে,কাটোয়ার ধারসোনা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি নার্গিস খাতুনের । সন্তান প্রসবের জন্য তিনি মাসখানেক আগে বাপেরবাড়ি অর্জুনডিহি গ্রামে চলে আসেন । বৃহস্পতিবার তাকে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । ওদিনই তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। আজ শনিবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । আজ সকালে কাটোয়া হাসপাতাল থেকে একটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স মাতৃযানে নার্গিস খাতুন, তার ৩ দিনের শিশুকন্যা এবং নার্গিসের মা আসরুপি বেগমকে নিয়ে অর্জুনডিহি গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয় । এদিকে শুক্রবার বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে সড়কপথের কিছু জায়গায় এখনো জল জমে আছে । কাটোয়া করুই রোড ধরে অর্জুনডিহি গ্রামের উদ্দেশ্যে আসার সময় পঞ্চাননতলায় রাস্তায় জমা জল দেখে মাতৃযান চালক আর এগুতে সাহস করেননি । চালক জানিয়ে দেন যে ওই জল পেড়িয়ে তিনি যেতে পারবেন না । এরপর সদ্যজাতসহ প্রসূতি ও তার মাকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে মাতৃযান নিয়ে হাসপাতালে ফিরে যান চালক । বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে গাছের নিচে বসে সন্তানকে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন প্রসূতি ও তার মা । ইতিমধ্যে স্থানীয় কেউ কাটোয়া হাসপাতালের সুপারকে ফোন করে বিষয়টি জানান । তারপর সুপার অন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে দেন এবং ঘন্টা দেড়েক পর তাদের তাদের রাস্তা থেকে তুলে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় ।
আসরুপি বেগমের অভিযোগ,ঘুরপথে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাড়তি ভাড়ার দাবি করেন প্রথম অ্যাম্বুলেন্সের চালক । কিন্তু আমার কাছে ৫০ টাকা ছিল তাই দিতে পারিনি । সেকারণেই আমাদের রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের চালক চলে যান৷’ অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতালের সুপার ।।