এইদিন ওয়েবডেস্ক,বর্ধমান,১৪ অক্টোবর : পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের IQ সিটি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনায় শুধু এরাজ্য নয়,গোটা দেশ জুড়ে তোলপাড় পড়ে গেছে । বিশেষ করে নির্যাতিতা ছাত্রী উড়িষ্যার বাসিন্দা হওয়ায় ভিন রাজ্য থেকে এরাজ্যে আসা মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠছে । যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি মেয়েদের পরামর্শ দিয়েছেন যে তারা রাতে যেন বাইরে বের না হন । অবশ্য এনিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে তাকে রীতিমতো খোঁচা খেতে হচ্ছে । তবে আরও একটা বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে । আর তা হল বর্ধমান- দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)কে নিয়ে । গত শুক্রবার রাতে ভিন রাজ্যের ওই ডাক্তারি ছাত্রী গনধর্ষিতা হওয়ার পর থেকে তোলপাড় চললেও কীর্তি আজাদের এযাবৎ কোনো দেখা মেলেনি । যানিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন । এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় কীর্তি আজাদের ছবিতে “নিখোঁজ” লিখে পোস্টারও পোস্ট করছেন তারা । কিন্তু কোথায় গেলেন সাংসদ ? এর সদুত্তর দলীয়ভাবেও কাউকে দিতে দেখা যায়নি ।
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন,’এত বড় ঘটনা, নিখোঁজ সাংসদ । বহিরাগত সাংসদ হলে এমনটাই হয়। বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ (Kirti Azad) গত পাঁচ দিন ধরে ‘নিখোঁজ’। খুঁজে বের করুন আপনার সাংসদ এখন কোথায়…..।’
অনির্বান ব্যানার্জি নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন,’এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, নিখোঁজ সাংসদ! বহিরাগত সাংসদ হলে যা হয় আর কি! বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ (Kirti Azad) বাবু গত পাঁচ দিন ধরে ‘নিখোঁজ’!চটিপ্সি আপনি খুঁজে বের করুন আপনার সাংসদ এখন কোথায়…..কি লজ্জার কথা! দুয়ারে এত উন্নত প্রকল্প চলছে আর সাংসদ নিজেই অনুপস্থিত!আর কীর্তি বাবুকেও বলিহারী, আপনি ১৯৮৩ Cricket World Cup champion দলের অন্যতম সদস্য, আপনার অন্য একটা fame ছিল জনমানসে, সেই fame টাকে নষ্ট করেছেন নিজেই এই রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে!এখনও সময় আছে কীর্তি বাবু, resignation দিয়ে পালান, যদি কিছু সম্মান বাঁচাতে পারেন!’
প্রসঙ্গত,বিহারের পূর্ণিয়ার বাসিন্দা কীর্তিবর্ধন ভগত ঝা আজাদ বা কীর্তি আজাদকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল । বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে তিনি পরাজিত করেন । দুর্গোৎসবের আবহে তাকে দেখা গেলেও দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর গনধর্ষণের ঘটনার পর থেকে তিনি উধাও হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠছে । আর দুর্গাপুর তারই নির্বাচনী এলাকা হয়ে যাওয়ায় সাংসদের আচমকা “বেপাত্তা” হয়ে যাওয়ায় বিস্তর প্রশ্ন উঠছে ।।

