এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাটনা,১৪ আগস্ট : স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের সন্দেহে বিহারের ভাগলপুর জেলায় পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত এক ব্যক্তি তার স্ত্রী, দুই সন্তান এবং মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ৷ নিহতদের নাম নীতু কুমারী, তার ৪ বছর বয়সী ছেলে শিবু,৩ বছর বয়সী মেয়ে শ্রেয়া,নীতুর স্বামী পঙ্কজ এবং পঙ্কজের মা । পঙ্কজ বিহার পুলিশের কনস্টেবল এবং সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) এর অফিসে নিযুক্ত ছিলেন ।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পঙ্কজের লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে । তাতে আত্মহত্যার আগে স্ত্রী, দুই সন্তান ও মাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছেন পঙ্কজ। ভাগলপুরের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (ডিআইজি) বিবেকানন্দ জানিয়েছেন, সোমবার ও মঙ্গলবার মধ্যরাতের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে,একজন দুধ বিক্রেতা মঙ্গলবার সকালে দুধ দিতে গিয়ে ঘরের মধ্যে একাধিক লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে নীতু কুমারীর প্রতিবেশীদের খবর দেন। খবর পেয়ে স্থানীয় থানার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিছু মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন এবং অন্যদের ঘরের মেঝেতে পাওয়া যায়। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় পঙ্কজের দেহ। পরে পুলিশ সব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ।
এই বিষয়ে ডিআইজি জানিয়েছে, স্থানীয় লোকজনের বয়ান অনুযায়ী সোমবার রাতে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নীতু ও পঙ্কজের মধ্যে ঝগড়া হয়। পঙ্কজ তার সুইসাইড নোটে দাবি করেছেন যে তার স্ত্রীর সঙ্গে একজন পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। মামলার তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি ।।