এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,২৮ এপ্রিল : বাংলাদেশের গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলের(Mainul Ahsan Noble) মাতলামোর জন্য মাঝ পথে বন্ধ করে দিত হল কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি ও সূর্বণজয়ন্তী উপলক্ষে দিন দুয়েক ধরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল । বৃহস্পতিবার রাতে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলাদেশের বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পি নোবেলকে । রাত ৯ টার দিকে তার গান গাওয়ার কথা থাকলেও তিনি মঞ্চে ওঠেন ১১ টা ২০ মিনিট নাগাদ । আর স্টেজে ওঠার পর থেকেই আকন্ঠ মদ্যপান করা নোবেল রীতিমতো মাতলামি শুরু করে দেন ।
মঞ্চে উঠেই নোবেল তার চশমা খুলে পাঞ্জাবির কলারে রেখে বলেন,’দ্বিতীয়বার কুড়িগ্রাম আসলাম। এর আগে এসেছিলাম তোমাদের সাথে দেখা হয়নি। সুদূর ইন্ডিয়ার বর্ডার লাইনে থেকে গেছিলাম। তোমাদের কারো সাথে দেখা হয়নি। এবার দেখা হলো, আলহামদুলিল্লাহ।’ এরপর তিনি ‘এই আমার চশমাটা কই’ বলে? বলে মাইক্রোফোনে মুখ লাগিয়ে চিৎকার করে ওঠেন । তার পিলে চমকানো চিৎকারে চমকে ওঠেন দর্শকরা । পরে চশমা পেয়ে চোখে পড়ে ‘সে যে আমার জন্মভূমি’ গানটি গাইতে শুরু করেন নোবেল । কিন্তু মদের নেশায় চুর নোবেল গানের মাঝখানেই মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড আছড়ে ভেঙে ফেলেন। এরপর তিনি স্টেজে দু’পা তুলে প্যারেড করতে শুরু করেন । প্যারেড করা অবস্থায় প্যান্ট দু’হাত দিয়ে ঠিক করে ফের গান ধরেন,’তারা রইলো কমাট ।’ সেই গান শেষ হতেই স্টেজে বসে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি শুরু করে দেন নোবেল ।
এদিকে গায়ক নোবেলের মাতলামোয় ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় শ্রোতাদের । শেষে বিরক্ত শ্রোতারা জুতো, জলের বোতল,ঢিল প্রভৃতি যে যা হাতের কাছে পেয়েছে তা নোবেলকে লক্ষ্য করে ছুড়তে শুরু করে । পরিস্থিতি কতটা ঘোরালো হয়ে উঠেছে তা বোঝার মত পরিস্থিতিতে ছিলেন না মদ্যপ নোবেল । শেষে উদ্যোক্তার তাকে স্টেজ থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায় এবং মাঝপথেই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করতে বাধ্য হন তারা ।।