এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,১০ অক্টোবর : সোনার অলঙ্কার ও টাকা ভর্তি ব্যাগ কুড়িয়ে প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দিলেন মালদা থানার এক সিভিক ভলেন্টিয়ার । রবিবার সকালে মালদা শহরের সুকান্ত মোড়ে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়ার্সদের দলে ছিলেন রাজকুমার পাহাড়ি নামে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার । সেই সময় এক বাইক আরোহী দম্পতির বাইক থেকে একটি ব্যাগ পড়ে যায় । রাজকুমারবাবুর নজরে পড়ে যাওয়ায় ব্যাগটি কুড়িয়ে রাখেন । অনান্য পুলিশকর্মীদের সামনে ব্যাগটি খুলে দেখেন তাতে টাকাপয়সা ও কিছু সোনার গহনা রয়েছে । পরে জয়ন্ত সরকার ও মামনি সরকার নামে ওই দম্পতির হাতে ব্যাগটি তুলে দেন রাজকুমার পাহাড়িসহ ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা । কয়েক হাজার টাকার গহনা ও টাকা ফেরত পেয়ে রাজকুমারবাবুসহ অনান্য পুলিশ কর্মীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ওই দম্পতি ।
জানা গেছে,মালদা শহরের পুরাটুলি সদর ঘাট এলাকায় বাড়ি জয়ন্ত সরকারের । দিন কয়েক আগে স্ত্রী মামনিদেবী ও শিশুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে গয়েশপুরে এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন । এদিন স্ত্রী ও সন্তানকে নিজের বাইকে চাপিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন জয়ন্তবাবু । তিনি বলেন, ‘আমার ও আমার স্ত্রীর মাঝে মেয়েকে বসানো হয়েছিল । বাইকের ক্যারিয়ারে লাগানো ছিল জামাকাপড়ের একটি ব্যাগ । ওই ব্যাগের মধ্যে স্ত্রীর হাতব্যাগটি রাখা ছিল । ব্যাগে ছিল নগদ দেড় হাজার টাকা ও আমার স্ত্রীর দেড় ভরি সোনার গহনা ।’ তিনি বলেন, ‘পোশাকের ব্যাগের চেন যে খোলা ছিল তা আমরা কেউই লক্ষ্য করিনি । বাড়ির কাছাকাছি আসার পর স্ত্রীর নজরে পড়লে দেখে তার হাতব্যাগটি নেই । তারপর আমরা ব্যাগটির সন্ধানে বেড়িয়ে পড়ি ।’
জানা গেছে, সারা রাস্তা খোঁজাখুঁজি করেও জয়ন্তবাবুরা ব্যাগটির সন্ধান পাননি । তারপর তাঁরা সুকান্ত মোড়ে এসে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেন । বিষয়টি সিভিক ভলেন্টিয়ার রাজকুমার পাহাড়িসহ পুলিশ কর্মীদের নজরে পড়ে গেলে তাঁরা ওই দম্পতির কাছে যান । তখন পুলিশ কর্মীদের ব্যাগ হারানোর কথা বলেন জয়ন্তবাবুরা । শেষে জিজ্ঞাসাবাদ করে সঠিক তথ্য পেলে রাজকুমারের হাত দিয়েই ব্যাগটি ওই গৃহবধুর হাতে তুলে দেয় পুলিশ ।
মামনিদেবী বলেন, ‘সব মিলিয়ে কয়েক হাজার টাকার সামগ্রী ছিল । ব্যাগটা পাওয়ার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম । মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল । শেষ পর্যন্ত মালদা থানার পুলিশের কারনে মহা পঞ্চমীর দিন আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হল না । বিশেষ করে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার্স দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ।’।