নিজস্ব প্রতিনিধি,মঙ্গলকোট,১৩ আগস্ট : মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা অসীম দাসকে খুনের ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করল সিআইডি । সিআইডি জানায় ধৃতের নাম শেখ রাজু । তার বাড়ি বীরভূমের নানুর থানা এলাকার সিদাই গ্রামে । তবে সে বছর চারেক ধরে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের মল্লিকপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতেই থাকছিল । খুনের ঘটনার পর থেকে সে দিল্লির ভজনপুরী এলাকায় একটি ভাড়া বাড়ি নিয়ে থাকতে শুরু করে । শেষে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সেখানে হানা দেয় সিআইডির চার সদস্যের একটি দল । রাজুকে গ্রেফতার করা হয় । অজয় নদ থেকে অবৈধভাবে বালি খননে বাধা হয়ে দাঁড়ানো ও অঞ্চল সভাপতির পদের লোভের কারনেই কারনেই বালি মাফিয়া শেখ রাজু তৃণমূল নেতা অসীম দাসকে খুনের চক্রান্ত করে বলে জানা গেছে ।
গত ১২ জুলাই সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বাড়ি ফেরার সময় সিউর বাসস্ট্যান্ডের কাছে খুন হন মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অসীম দাস । পুলিশ ও সিটের পর পরবর্তীকালে মামলার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে । গত ৪ জুলাই রাতে আউশগ্রামের ফতেপুর গ্রাম থেকে মঙ্গলকোটের কোটালঘোষ গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল শেখ নামে এক দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করে সিআইডি । তাকে জেরা করেই তৃণমূল নেতা অসীম দাসকে খুনের ঘটনার মাস্টার মাইন্ড রাজু শেখের হদিশ পায় সিআইডি ।
সুত্রের খবর, লাখুরিয়ার পার্স্ববর্তী কুরগ্রামে অজয় নদের একটি বালিঘাটের ম্যানেজারের কাজ করত রাজু । ক্রমে সে নিজেই বালিঘাট থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন শুরু করেছিল । নিজের বালি তোলার যন্ত্রও ছিল রাজুর। বালির অবৈধ কারবার করে সে অল্প সময়েই প্রভূত সম্পদের মালিক হয়ে যায় । শ্বশুরবাড়ির গ্রামে রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি । বেশ কয়েকটি গাড়িরও মালিক রাজু। কিন্তু কিছুদিন ধরে তার এই অবৈধ কারবারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৃণমূল নেতা অসীম দাস । ফলে মার খাচ্ছিল অবৈধ বালির কারবার । শেষ পর্যন্ত রাজু তাঁকে সুপারি কিলার লাগিয়ে খুন করার পরিকল্পনা করে বলে সিআইডি জানতে পারে । পাশাপাশি লাখুরিয়া অঞ্চল সভাপতির পদের দিকেও নজর ছিল বলে খবর । শনিবার ধৃতকে কাটোয়া আদালতে তোলা হবে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গেছে ।।