প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৫ ডিসেম্বর : পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থেকে জাল লটারির এক কারবারীকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি । ধৃতের নাম লালন শা ওরফে মহম্মদ নুরুল ইসলাম। তার বাড়ি জামালপুর থানার দক্ষিণসুরা গ্রামের পীরতলা এলাকায় । ধৃতের কাছ থেকে ২৯টি ভূটান রাজ্য লটারির জাল টিকিট উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি। এর আগে এই জালিয়াতি কান্ডে গ্রেপ্তার হয়েছিল রাজকুমার ঢালি ওরফে রাজু নামে আরও এক পান্ডা । তাকে হেপাজতে নিয়ে জেরা করে মহম্মদ নুরুল ইসলামের নাম সামনে আসে৷ এরপর রাজুকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার রাতে লালনের বাড়িতে হানা দেয় সিআইডির একটি দল । সেখান থেকেই প্রচুর জাল টিকিটসহ পাকড়াও করা হয় ।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর রায়না বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজকুমারকে । সে আদপে হাওড়র জগৎবল্লভপুর থানার তেলিহাটির বাসিন্দা হলেও বেশ কিছুদিন যাবৎ বাসস্ট্যান্ড বাজারে থাকছিল। রাজকুমারকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তার কাছ থেকে বেশকিছু জাল লটারির টিকিট, টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার হয়।এই ঘটনা নিয়ে সিআইডির অভিযোগের ভিত্তিতে রায়না থানার পুলিশ কেস রুজু করে তদন্তে নামে ।পুলিশ ৪ ডিসেম্বর রাজকুমারকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে তাকে দু’দিন হেপাজতে নেয়।
এই ঘটনার তদন্তভার পরে পুলিশের হাত থেকে সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয় । আদালতের অনুমতি নিয়ে বিচারবিভাগীয় হেপাজতে থাকা রাজকুমারকে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির তদন্তকারী অফিসার। পরে আদালতে পেশ করে তাকে পাঁচদিন নিজেদের হেপাজতে নেয় সিআইডি। হেপাজতে থাকা রাজকুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জাল লটারি বিক্রির চক্রে লালনের জড়িত থাকার কথা জানতে পারে সিআইডি । এরপর শনিবার রাতে সিআইডি লালন শা কে গ্রেফতার করে ।
সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেসিআইডি-র তদন্তকারী অফিসার রবিবার ধৃত রাজকুমার ও লালনকে রবিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করে ।তদন্তের প্রয়োজনে ও জাল লটারির কারবারের বিষয়ে বিশদে জানতে লালনকে ১০ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান সিআইডির তদন্তকারী অফিসার। সিজেএম ধৃত লালন শা কে দু’দিন সিআইডি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।আর সপ্তাহে একদিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দেওয়ার শর্তে রাজকুমারের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।।

